• শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:৫৭ অপরাহ্ন

শেকৃবিতে ছাত্রীদের যৌন নিপীড়ন, তদন্তে আটকা অভিযুক্ত শিক্ষকের বিচার

নিজস্ব প্রতিনিধি
নিজস্ব প্রতিনিধি / ২৫
সোমবার, ১৮ মার্চ, ২০২৪

রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শেকৃবি) শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রীদের যৌন নিপীড়ন ও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে। এক বছর আগের সেই অভিযোগের বিচার এখনও আলোর মুখ দেখেনি। ছাত্রীদের অভিযোগের ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তদন্ত কমিটি গঠন করে। সেই কমিটি প্রতিবেদন দিয়েছে জানিয়েই দায় সারছে।

জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়টির ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড ফাইন্যান্স বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আবু জাফর আহমেদ মুকুলের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ ওঠে। গত বছরের মার্চ মাসে তার বিরুদ্ধে ছাত্রীদের যৌন নিপীড়ন ও মানসিক নির্যাতনসহ উত্ত্যক্তের অভিযোগ ওঠে।বিশ্ববিদ্যালয়ের এগ্রিবিজনেস ম্যানেজমেন্ট অনুষদের এক ছাত্রী ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। পাশাপাশি শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার, হুমকি প্রদান, প্রশ্নপত্র ফাঁস, সিলেবাসের বাইরে থেকে পরীক্ষায় প্রশ্ন করার অভিযোগ করেছেন শিক্ষার্থীরা।অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, প্রথমে তিনি শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক বানানোসহ চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে কাছে টানার চেষ্টা করেন। এরই ধারাবাহিকতায় তিনি প্রায়ই বিভিন্ন অপ্রাসঙ্গিক বিষয়ে শিক্ষার্থীদের মেসেঞ্জার ও ফোনে খুদে বার্তা পাঠান।

ভুক্তভোগী ওই ছাত্রী লিখিত অভিযোগে বলেন, ‘আবু জাফর আহমেদ মুকুল বিভিন্ন সময়ে আমাকে তার সঙ্গে একাকি দেখা করতে বলেন। আমি তাকে এড়িয়ে চললে তিনি আমার বাসার সামনে এসে আমাকে তার সঙ্গে রেস্টুরেন্টে যেতে বলেন। আমি ফোন রিসিভ না করলেও তিনি আমাকে ফোন দিতেই থাকেন। আমাকে বিভিন্ন জায়গায় তার সঙ্গে একা ঘুরতে যেতে বলেন।’

এ ছাড়া অন্য ছাত্রীদের অভিযোগ, তিনি ক্লাসের বাইরে প্রায় সময় ছাত্রীদের ভিডিও কল, মেসেজ দিয়ে উত্ত্যক্ত করতেন। বিভিন্ন সময় কফি খেতে যাওয়া এবং ঘুরতে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব দেওয়া, এমনকি গভীর রাতে কল দিতেন ওই শিক্ষক।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়টির যৌন নিপীড়ন প্রতিরোধকল্পে গঠিত কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক লাম ইয়া আসাদ বলেন, ‘সদস্যসচিব প্রক্টর অধ্যাপক হারুন-উর-রশীদের সঙ্গে কথা বলো।’

পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক হারুন-উর-রশীদ বলেন, ‘আমরা আমাদের তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছি। বিষয়টি সিন্ডিকেট সভায় সম্ভবত পাস হয়েছে। শিগগিরই বিচারিক কার্যক্রম শুরু হবে বলে আশা করছি।’


আরও সংবাদ