• শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০১:৫২ অপরাহ্ন

অবন্তিকার আত্মহত্যার পেছনে জড়িতদের বিচার দাবি, ঢাবি শিক্ষার্থীদের সংহতি

নিজস্ব প্রতিনিধি
নিজস্ব প্রতিনিধি / ২৬
সোমবার, ১৮ মার্চ, ২০২৪

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকার আত্মহত্যার পেছনে জড়িতদের বিচারের দাবিতে ‘নিপীড়নের বিরুদ্ধে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়’ এর চলমান আন্দোলনে সংহতি জানিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থীরা।

সোমবার (১৮ই মার্চ) দুপুরে কলা ভবনস্থ অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে এই সংহতি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

দূর্যোগ ব্যবস্থাপনার শিক্ষার্থী মিশকাত তানিশার সঞ্চালনায় সংহতি সমাবেশে বক্তব্য রাখেন প্রাচ্যকলা বিভাগের শিক্ষার্থী সাজিদ-উল-ইসলাম, ভাষাবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী নূজিয়া হাসিন রাশা, অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ মুস্তাকিম, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের মোজাম্মেল হক, প্রাণরসায়ন ও অণুপ্রাণ বিভাগের শিক্ষার্থী উমামা ফাতেমা, নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ হেল বুবুন ও নাঈম উদ্দিন, ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী আকাশ বিশ্বাস।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, আমরা আজ এখানে যে দাবি নিয়ে এসেছি তা পূরণ করবে কে? তথাকথিত স্বায়ত্ত্বশাসিত বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নাকি সরকার? সহকারী প্রক্টর বা আম্মান যে শ্রেণির প্রতিনিধিত্ব করে তাদের কাছেই কি আমরা বিচার চাচ্ছি? নিপীড়ক কখনো তার প্রতিনিধির বিচার করে না, করলেও তা স্রেফ লোক-দেখানোর মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে।

তারা বলেন, এটা একটা কাঠামোগত হত্যাকাণ্ড। প্রক্টোরিয়াল টিম পুরোপুরি পক্ষপাতদুষ্ট। শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা না দিয়ে তারা শাসকের সঙ্গে ঘনিষ্ঠদের সুরক্ষা নিশ্চিত করছে। দ্রুত এ হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে এবং যৌন নিপীড়ন বিরোধী সেলকে কার্যকর করতে হবে। অবন্তিকার এই হত্যাকাণ্ড একটা প্রকল্পিত হত্যাকাণ্ড, অভিযোগপত্র নিয়ে উপাচার্যসহ প্রশাসনিক স্তরে সকলের টালবাহানা স্পষ্ট করে যৌন নিপীড়নের ঘটনা এই প্রশাসনের কাছে অগুরুত্বপূর্ণ।

তারা আরও বলেন, শুধু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতেই নয়, সমাজের সকল স্তরেই দিন দিন যৌন নিপীড়নের ঘটনা বৃদ্ধি পাচ্ছে। কিন্তু, এগুলোর বিচার হচ্ছে না। নিয়োগ প্রক্রিয়ায় দলীয়করণের ফলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, রাষ্ট্র, সরকার নিপীড়কদের পক্ষে অবস্থান নিচ্ছে। তাই, এরকম নিপীড়ক সমাজ ও রাষ্ট্র কাঠামোর বিরুদ্ধেই সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।

এ ছাড়াও, সমাবেশে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার এক রিকশাচালক শামসুল হক।

দেশজুড়ে চলমান হত্যাকাণ্ড ও নিপীড়ন বন্ধ করতে শুধু জড়িতদের শাস্তিই যথেষ্ট নয়। প্রয়োজন এই ক্ষমতা কাঠামো আর পুরুষতান্ত্রিক ব্যবস্থার উচ্ছেদ। সেই আন্দোলনে সবাইকে যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানিয়ে সংহতি সমাবেশ শেষ হয়।

প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার রাতে ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী অবন্তিকা রশিতে ঝুলে আত্মহত্যা করেন। তিনি এই ফেসবুক পোস্টে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহপাঠী আম্মান সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে যৌন হয়রানিসহ নানা ধরনের নিপীড়নের অভিযোগ করেন। পোস্টটিতে সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামের বিরুদ্ধে ছেলেটির পক্ষ নিয়ে তার সঙ্গে খারাপ আচরণের অভিযোগও করেন তিনি। সেখানেই আত্মহত্যার কথা বলেন ফাইরুজ।


আরও সংবাদ