• শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ১২:৩২ অপরাহ্ন

জ্যামিতির কম্পাস দিয়ে শিক্ষক বাবাকে মেরেই ফেলল ছেলে

নিজস্ব প্রতিনিধি
নিজস্ব প্রতিনিধি / ১০
শনিবার, ৪ মে, ২০২৪
স্কুল শিক্ষক মজিবুর রহমান পান্না (বামে) ও তার ছেলে রাব্বি

জ্যামিতি বক্সের কম্পাসের আঘাতেই জীবন গেল স্কুল শিক্ষক মজিবুর রহমান পান্নার। কম্পাস দিয়ে কলেজ পড়ুয়া ছেলে মারুফ আহম্মেদ রাব্বি এলোপাতাড়ি বুকে আঘাত করায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি। বাবার দ্বিতীয় বিয়ে এবং মায়ের ওপর হওয়া অত্যাচার মেনে নিতে না পেরে এমন কাণ্ড ঘটান তিনি।

ছেলের হাতে বাবার এমেন মৃত্যুর ঘটনাটি ঘটেছে ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার পূর্ব ভালুকার কোনাপাড়া এলাকায়। নিহত মজিবুর রহমান পান্না ওই এলাকার মৃত সালামত শেখের ছেলে। তিনি স্থানীয় মিরকা হাসিনা বানু উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র সহকারী শিক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। আর অভিযুক্ত রাব্বি, মজিবুর রহমান পান্নার প্রথম স্ত্রীর সন্তান।

স্থানীয়রা জানান, মজিবুর রহমান পান্না দ্বিতীয় বিয়ে করায় অনেক দিন থেকেই তাদের পারিবারিক কলহ চলে আসছিল। দ্বিতীয় স্ত্রীকে তালাক দেওয়ার পরেও সেখানে যাতায়াত থাকায় ক্ষুব্ধ ছেলে ঝগড়ার এক পর্যায়ে বাবাকে আঘাত করে।

ভালুকা ইউ‌নিয়ন প‌রিষদের চেয়ারম‌্যান মো. শিহাব আমিন খান বলেন, এ ঘটনাটি হয়তো তার পারিবারিক কোনো কলহের কারণে ঘটেছে। তারা যেন সঠিক বিচার পায় সেজন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে অনুরোধ করছি।

এদিকে ছেলের বিরুদ্ধে ভালুকা মডেল থানায় হত্যা দায়ের করেছেন মা রোকেয়া আক্তার। ভালুকা মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ শাহ্ কামাল আকন্দ জানান, ঘটনার পরপরই ছেলে রাব্বিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী সে একটি জ্যামিতি বক্সের কম্পাস দিয়ে তার পিতাকে আঘাত করে। আসামিকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। আসামি তার দোষ স্বীকার করেছে।

স্থানীয়রা বলছেন, পারিবারিক কলহ যে হত্যা পর্যন্ত পৌছাবে তা কেউই ভাবতে পারেননি। প্রতিদিনের মতো বিষয়টি ঝগড়াঝাটি পর্যন্তই থাকবে বলে মনে করেছিল প্রতিবেশিরা।

 


আরও সংবাদ