• শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:৫৩ অপরাহ্ন

বিচ্ছেদের সংবাদে ভক্তদের হাতেই তুলাধুনা মাহি

নিজস্ব প্রতিনিধি
নিজস্ব প্রতিনিধি / ৫২
শনিবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪

দ্বিতীয় বিয়েটাও টিকল না চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহির। স্বামী মো. রকিব সরকার সঙ্গে বিচ্ছেদের ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। শুক্রবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে ফেসবুক লাইভে এসে কাঁদতে-কাঁদতে নিজের সিদ্ধান্তের কথা জানান এই চিত্রনায়িকা। এখন শুধু কাগজে কলমে ডিভোর্সের অপেক্ষা। জনপ্রিয় এ ঢালিউড নায়িকার এমন বিচ্ছেদ সহজভাবে নিতে পারেননি ভক্তরা। নেটিজেনদের অনেকেই এর জন্য দায়ী করছেন মাহিকেই। করছেন তুলাধুনা।

রকিবের সঙ্গে দূরত্ব বাড়িয়ে নিয়েছেন মাহি। আলাদা থাকছেন তারা। স্বামী রকিবেরও দ্বিতীয় বিয়ে এটি। ২০২১ সালে মাহির সঙ্গে বিয়ে হয় তার। যা নিয়ে ছিল চরম বিতর্ক। কথা উঠেছিল—প্রথম স্ত্রীকে ডিভোর্স না দিয়েই মাহিকে বিয়ে করেছেন রকিব। পরে অবশ্য রকিব তার প্রথম বিয়ের ডিভোর্সের কথা নিশ্চিত করেন।

কার দোষে ভাঙছে মাহির সংসার? ভুলটা রকিবের নাকি মাহির? বিয়ে বিচ্ছেদের ঘোষণা শোনার পর এই সমীকরণ মেলাতে বসেছেন নেটিজেনরা। মাহিকে সহানুভূতি জানিয়েছেন ভক্তরা।

মো. তরিকুল বাশার স্মরণ নামে একটি ফেসবুক আইডি থেকে সংসার ভাঙার পেছনে মাহিকেই দোষারোপ করা হয়েছে। এমনকি রকিবের প্রথম সংসার ভাঙার পেছনেও মাহির হাত রয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।

মিটু আজিজ নামে একজন লিখেছেন, একটি সম্পর্ক সারাজীবন বয়ে নেওয়া বেশ কঠিন। যারা এ ডাল থেকে ওই ডালে ঘুরতে থাকে, তাদের জন্য সংসার টেকানো আরও কঠিন।

উম্মে হাবিবা কথা নামে একজন ফেসবুক ব্যবহারকারী ওই লাইভটি শেয়ার করে জানিয়েছেন মাহিকে পছন্দ করেন না তিনি। কারণ রকিবের সঙ্গে মাহির বিয়ে হওয়ায় বেশ কষ্ট পেয়েছেন রকিবের প্রথম স্ত্রী। তিনি লিখেছেন, অন্যের সংসার ভেঙে নিজেরটা গড়া যায় না। রকিব ও মাহির সংসারে রয়েছে ফারিশ নামে এক পুত্রসন্তান।

ছোট এই শিশুটির মুখের দিকে তাকিয়ে সংসার না ভাঙার অনুরোধ করেছেন নেটিজেনদের কেউ কেউ। যেমন নুসরাত জাহান সাইজু নামে একজন লিখেছেন একটা সংসারের ওপর দিয়ে ঝড়ঝাপটা অনেক কিছুই যাবে। তারা আবার বিয়ে করবে, সংসার করবে। কিন্তু বাচ্চার জীবন তছনছ হয়ে যাবে। বাচ্চার কথা চিন্তা করে হলেও একটু বোঝাপড়া করে সংসার টিকিয়ে রাখা উচিত।

ওই লাইভে মাহিয়া মাহি কাঁদতে কাঁদতে তার শিশু-সন্তানকে জড়িয়ে নেকিবাচক কোনো মন্তব্য না করার অনুরোধ করেছেন সবাইকে। এ বিষয়ে রাশাদ হাসান সামি নামে একজন লিখেছেন

আসলে বাচ্চাটিকে নিয়ে লেখা কারো উচিত না। বাচ্চাকে নিয়ে বাজে কথা লেখা হলে সেই শিশু বড় হয়ে সেসব দেখলে তার কেমন লাগবে সবারই তা চিন্তা করা উচিত।

তারকাদের এই সংসার ভাঙা-গড়াকে কিছুটা নেতিবাচক দৃষ্টিতেই দেখেন ভক্তরা। মাহির আগে সংসার ভাঙার বিষয়ে তুমুল সমালোচিত হয়েছেন চিত্রনায়িকা পরীমণি। তাই এবার মাহির বিচ্ছেদের ঘোষণার ওই লাইভটি শেয়ার করে ফয়সাল নামে এক ব্যক্তি লিখেছেন, পরিমণির দিন শেষ, মাহিয়া মাহির বাংলাদেশ।


আরও সংবাদ