• শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:২৭ অপরাহ্ন

লক্ষ্মীপুরে একই পরিবারের ৭ জনকে কুপিয়ে জখম

নিজস্ব প্রতিনিধি
নিজস্ব প্রতিনিধি / ৫৪
শুক্রবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪

লক্ষ্মীপুরে জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে একই পরিবারের ৭ জনকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করা হয়েছে। এ ঘটনায় ১৩ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে জমির মালিক ব্যবসায়ী আরিফুর রহমান বাপ্পী বাদী হয়ে সদর মডেল থানায় এ মামলা করেন।

অভিযুক্তরা হলেন জহির হারুন রাজু শরীফ আরিফ, রিয়াজ, হৃদয় ও অজ্ঞাত ৬ জন। তারা লক্ষ্মীপুর পৌর শহরের বাঞ্চানগর শাঁখারিপাড়া এলাকার বাসিন্দা।

বাদী বাপ্পী সদর উপজেলার লাহারকান্দি ইউনিয়নের পশ্চিম সৈয়দপুর গ্রামের লোকমান হোসেনের ছেলে ও ইটভাটা ব্যবসায়ী।

আহতরা হলেন নুরনবী, তার ভাই জাফর কোরবান আলী, বাবা তোফায়েল আহমেদ চৌধুরী, স্বজন নুরুল আমিন, কাদের ও মোর্শেদ।

এর মধ্যে মোর্শেদের মাথায় ধারালো অস্ত্রের কয়েকটি আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

অন্যরা লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। তারা শহরের বাঞ্চানগর শাখারিপাড়া এলাকার বাসিন্দা।

 

এজাহার সূত্র জানায়, লক্ষ্মীপুর পৌর শহরের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ বাঞ্চানগর শাঁখারিপাড়া এলাকায় বাদী বাপ্পীর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান মেটাল ওয়ার্কশপ ও খালি জমি রয়েছে।

সেখানে তার দখলীয় খালি জমিতে তিনি ইট-বালু রাখেন। এর মধ্যে একপাশে অভিযুক্ত জহির লাকড়ি রাখতেন। সেখানে বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে বাপ্পী ইট ও বালু পাঠায়।

রাত সাড়ে ৮টার দিকে জহিরকে বাপ্পীর ভগ্নিপতি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার নুরনবী লাকড়িগুলো সরিয়ে নিতে বলেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে জহিরসহ অভিযুক্তরা নুরনবীর ওপর চড়াও হয়। একপর্যায়ে তাকে মারধর করে।

এ সময় নুরনবীর স্বজনরা তাকে বাঁচাতে এলে জহিরসহ অন্য অভিযুক্তরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা করে। একপর্যায়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ও পিটিয়ে নুরনবীসহ ৭ জনকে রক্তাক্ত জখম করে। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। হামলার সময় নুরনবীর কাছে থাকা ব্যাগ থেকে ৭ লাখ টাকা, ওয়ার্কশপের ক্যাশ বক্স থেকে ৯০ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যায় অভিযুক্তরা। এ ছাড়া দোকান ভাঙচুর করা হয়। এতে প্রায় আড়াই লাখ টাকার ক্ষতি করেছে বাদীর।

বাদী আরিফুর রহমান বলেন, ৩ বছর আগে আমি ৯ শতাংশ জমি কিনে ঘটনাস্থলে দোকান নির্মাণ করেছি। আর খালি জমিতে ইট-বালু রাখছি। আমার ভগ্নিপতি ওই জমি তদারকি করেন। একই জমি অভিযুক্ত জহির কিনতে চেয়েছিল। পরে তিনি বিভিন্ন সময় আমাদের কাছ থেকে চাঁদাও চেয়েছেন। আমাদের জমিতেই তিনি লাকড়ি রাখতেন। ওগুলো সরাতে বললেই তিনি পরিকল্পিতভাবে হামলা করে।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার এসআই মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল বলেন, থানায় মামলা হয়েছে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


আরও সংবাদ