• সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ০১:৪০ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী সার্কেল হিসেবে সহকারী পুলিশ সুপার মাসুদ রানার যোগদান শেষ সময়ে রাত -দিন এক করে প্রার্থীরা বাড়ি গিয়ে ভোট প্রার্থনা করছেন । অন্যদিকে বিএনপি ভোট বর্জনের লিফলেট বিতরণে মরিয়া হয়ে উঠেছেন । মূকাভিনয় করতে দক্ষিণ কোরিয়ায় যাচ্ছেন ঢাবির সায়েম আকর্ষণীয় বেতনে চাকরি দেবে প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল যুবলীগ নেতাকে প্রকাশ্যে কোপাল দুর্বৃত্তরা সোনার দাম আরও বেড়েছে, ভরি এখন ১ লাখ ১৯ হাজার ৫৪৪ টাকা ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানে আটকে থাকা টাকা ফেরত দিতে কমিটি গঠন গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলা ইসির সিদ্ধান্ত স্থগিত, প্রতিমন্ত্রীর ভাইয়ের প্রার্থিতা বহাল ধোনির ১১০ মিটার ছক্কাই চেন্নাইয়ের বিদায়ের কারণ সার্বজনীন পেনশন স্কিম নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে আসছেন শিক্ষকরা

২০২৬ সালে অর্থনৈতিক সংকট প্রকট হতে পারে : দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য

নিজস্ব প্রতিনিধি
নিজস্ব প্রতিনিধি / ১৪
মঙ্গলবার, ৭ মে, ২০২৪
সিপিডির সম্মানীয় ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। ছবি : সংগৃহীত

২০২৬ সালে অর্থনীতির সংকট আরও প্রকট হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মানীয় ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, এর কারণ সরকারকে বৈদেশিক ঋণ ও স্থানীয় ব্যাংক থেকে নেওয়া ঋণ পরিশোধ করতে হবে।

মঙ্গলবার (৭ মে) রাজধানীর পল্টনে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) কার্যালয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, সরকার জ্বালানি তেলের মূল্য পরিশোধ, বিদেশি বিনিয়োগকারীর মুনাফা ও বিদেশি এয়ারলাইন্সের পাওনা দিতে পারছে না। একের পর এক সিদ্ধান্তহীনতা ও অনিশ্চয়তায় পুরো ব্যাংক খাত ভুগছে।

সিপিডির এই ফেলো বলেন, তথ্য-উপাত্ত প্রকাশে সরকার অনেক বেশি সংবেদনশীল। এটা সরকারের জন্য ভালো নয়। রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংক তথ্য-উপাত্ত প্রকাশে বাধ্য। কিন্তু সেখানে সাংবাদিকদের প্রবেশাধিকার নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। এতে প্রতিষ্ঠানটির সুনাম ক্ষুণ্ণ হয়েছে। তথ্যে প্রবেশাধিকার কমে যাওয়ায় নৈরাজ্য তৈরি হয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, ব্যবসায়ীদের তথ্য দেওয়া হলে বাজারে প্রভাব পড়ে, জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যায়। আগে দেশে তথ্য-উপাত্তের নৈরাজ্য ছিল, এরপর শুরু হয় অন্ধত্ব। এখন দেখা যাচ্ছে, তথ্য-উপাত্তের অপঘাত হয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশে সম্প্রতি যে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে, এটা তারই প্রমাণ।

তিনি বলেন, সুবিধাভোগীদের রাজনৈতিক ও সামাজিক শক্তি অনেক বেশি। তাই তাদের মোকাবিলা করা যাচ্ছে না। একদিকে তথ্য লুকিয়ে রাখা হবে, আরেক দিকে ডিজিটাল বাংলাদেশ ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার চিন্তা করা হবে, এ দুটি সাংঘর্ষিক।

তিনি আরও বলেন, অর্থনীতির আয়তনের তুলনায় বাজেটে বরাদ্দ বাড়েনি। মুদ্রানীতি এবং আর্থিক নীতির মধ্যে কোনো সমন্বয় নেই। সমন্বয় পদ্ধতি অনেকটা বিকল হয়ে গেছে। বিদেশি ঋণ পরিশোধে দেশের গর্বের জায়গায় ফাটল ধরিয়েছে সরকার। গত কয়েক মাসে ৫ বিলিয়ন টাকা পরিশোধ করতে পারছে না।

তথ্যের অপঘাতে বাংলাদেশ ব্যাংকের সুনামের হানি হচ্ছে উল্লেখ করে দেবপ্রিয় বলেন, তথ্য-উপাত্তের বড় উৎস বাংলাদেশ ব্যাংক। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্যের আগে রপ্তানি-আমদানিসহ আর্থিক সূচকের জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যের ওপর নির্ভরশীল ছিলাম আমরা। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে, ব্যবসায়ীরা তথ্য পাচ্ছে অথচ সাংবাদিকরা পাচ্ছে না।

এ সময় তিনি বলেন, এখন শোনা যাচ্ছে রেমিট্যান্সের টাকা দিয়ে স্থানীয় শিল্প মালিকরা বিদেশে শিল্পের কাঁচামাল কিনছেন। এভাবে ২ বা ৩ শতাংশ প্রণোদনা দিয়ে রেমিট্যান্স বাড়ানো যাবে না। এ ক্ষেত্রে আরও নমনীয় হতে হবে। সুদহারেও নমনীয়তা আনতে হবে। মুদ্রানীতি ও রাজস্ব নীতি সমন্বয় করার ক্ষেত্রে ব্যবস্থাপনাগত দুর্বলতা রয়েছে, সেটা দূর করতে হবে অর্থনীতির স্বার্থে।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইআরএফ সভাপতি রেফায়েত উল্লাহ মীরধা। সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেমের পরিচালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন ইংরেজি দৈনিক ফিন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেসের সম্পাদক শামসুল হক জাহিদ।

 


আরও সংবাদ