তীব্র তাপপ্রবাহে পুড়ছে মিয়ানমার। সোমবার (২৯ এপ্রিল) দেশটির সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪৮ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস (১১৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি ফারেনহাইট)। যা মিয়ানমারের ইতিহাসেও সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। খবর এপি ও দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়ার।
দেশটির আবহাওয়া দপ্তরের বরাতে প্রতিবেদনে বলা হয়, রোববার মধ্য মিয়ানমারের ম্যাগওয়ে অঞ্চলের চাউক শহরে ইতিহাসের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল। একই দিনে ইয়াঙ্গুনে তাপমাত্রা ছিল ৪০ ডিগ্রি আর মান্দালয়ে ছিল ৪৪ ডিগ্রি। এপ্রিলে দেশের সাধারণ গড় তাপমাত্রা থেকে ৩-৪ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড বেশি তাপমাত্রা গত কয়েক দিন ধরে রেকর্ড করা হচ্ছে।
এদিকে তীব্র তাপপ্রবাহে মিয়ানমারের জনজীবন বিপর্যস্ত। এর আগে ১৯৬৮ সালে এ রকম পরিস্থিতি মোকাবিলা করেছে দেশটির মানুষ। তবে তখনো তাপমাত্রার পারদ এত বাড়েনি। ওই সময় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৪৭ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস (১১৭ দশমিক ৩ ডিগ্রি ফারেনহাইট)। এবার তাও ছাড়িয়ে গেল।
এর ফলে ৫৬ বছর পর ফের ভয়াবহ উষ্ণতম এপ্রিল মোকাবিলা করতে হচ্ছে দেশটির বাসিন্দাদের।
এ পরিস্থিতিতে দেশটিতে স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। বাসিন্দাদের বিনা কারণে ঘরের বাইরে যেতে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে। প্রয়োজনে বের হলেও সতর্ক থাকতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ইয়াঙ্গুনে মোটরসাইকেল ও স্কুটার চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
চাউক শহরের এক বাসিন্দা বলেন প্রচণ্ড গরমে আমরা ঘর থেকে বের হচ্ছি না। এ অবস্থায় গরম থেকে বাঁচতে আমাদের আর কিছু করার নেই।’
২০২৩ সালে বিশ্বজুড়ে তাপমাত্রা রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছায়। ওয়ার্ল্ড মেটেরোলজিক্যাল অর্গানাইজেশন বলছে, এশিয়ার তাপমাত্রা ক্রমশ বাড়ছে। তীব্র তাপপ্রবাহে এ অঞ্চলে মানুষের জনজীবন বিপর্যস্ত।