• সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ১২:৪১ অপরাহ্ন

মিয়ানমারে ফের ভয়াবহতা, থাইল্যান্ডে পালাচ্ছে মানুষ

মুহাম্মাদ শিমুল হুসাইন
মুহাম্মাদ শিমুল হুসাইন / ৩৩
রবিবার, ২১ এপ্রিল, ২০২৪

বিদ্রোহীদের তোপের মুখে কোথাও টিকতে পারছে না মিয়ানমার সেনাবাহিনী। নিয়ন্ত্রণ হারাচ্ছে একের পর এক এলাকা। এতেই মাথা নষ্ট অবস্থা জান্তা বাহিনীর। রাখাইনসহ আশপাশের রাজ্যগুলোতে সুবিধা করতে না পেরে এবার থাইল্যান্ড সীমান্তে অভিযানে নেমেছে দেশটির হাজার হাজার সেনা।

শনিবার সকালে থাইল্যান্ডের সঙ্গে মিয়ানমারের পূর্ব সীমান্তে বিদ্রোহী এবং সেনাবাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে। চালানো হচ্ছে বিমান হামলাও। এতে প্রাণ বাঁচাতে সীমান্ত পেরিয়ে থাইল্যান্ডে পালিয়ে গেছেন অন্তত দুই শতাধিক বাসিন্দা। এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ১১ এপ্রিল সীমান্তবর্তী প্রধান বাণিজ্য শহর মিয়াবতী দখল করে প্রতিরোধ যোদ্ধা এবং জাতিগত সংখ্যালঘু বিদ্রোহীরা। ঘটনাটি সামরিক জান্তার জন্য একটি বড় ধরনের ধাক্কা ছিল। এই ঘটনার পর থাই-মিয়ানমার সীমান্তবর্তী একটি ক্রসিং সেতুতে আশ্রয় নেন প্রায় ২০০ জান্তা সেনা। তাদের লক্ষ্য করে শনিবারের এই হামলার পরিচালনা করে বিদ্রোহীরা।

থাই-মিয়ানমারের সীমান্তবর্তী এলাকার বাসিন্দারা জানান, শুক্রবার গভীর রাত থেকে একটি কৌশলগত সেতুর কাছে বিস্ফোরণ এবং ভারী মেশিনগানের গোলাগুলির শব্দ শুনেছেন তারা।

থাই গণমাধ্যমগুলো বলেছে, ৫ এপ্রিল থেকে দুই শতাধিক সেনা সীমান্তবর্তী একটি সেতু ক্রসিংয়ে আশ্রয় নিয়েছিল। তাদের লক্ষ্য করে প্রতিরোধ বাহিনী ৪০ মিলিমিটার মেশিনগান ব্যবহার করেছে এবং ড্রোন থেকে অন্তত ২০টি বোমা ফেলেছে। তবে এই হামলায় কতজন সেনা মারা যায় সেই তথ্য পাওয়া যায়নি।

সীমান্তের এই অস্থিরতা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করার কথা বলেছেন থাই প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিন। প্রয়োজনে তার দেশ মানবিক সহায়তা দিতে প্রস্তুত রয়েছে বলেও জানিয়েছেন।

গত কয়েক মাস ধরেই বিদ্রোহীদের সঙ্গে জান্তা বাহিনীর তুমুল লড়াই চলছে। বিদ্রোহীরা বলছেন, যেকোনো মূল্যে তাদের ভূখণ্ড থেকে জান্তা বাহিনীর পতন ঘটাতে চান তারা। ফিরিয়ে আনতে চান নিজেদের শাসনব্যবস্থা।

২০১৭ সালে রাখাইনে দমন-পীড়নের শিকার হয়ে বাংলাদেশে নতুন করে আশ্রয় নেয় ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গা। সাত বছর পার হলেও রোহিঙ্গাদের নিজ দেশ মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো সম্ভব হয়নি।


আরও সংবাদ