• বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ০৭:১৫ অপরাহ্ন

মালয়েশিয়ায় বিনা চিকিৎসায় প্রবাসীর মৃত্যু, মানবেতর জীবনযাপনে আরও অনেকে

নিজস্ব প্রতিনিধি
নিজস্ব প্রতিনিধি / ৩৬
শনিবার, ২ মার্চ, ২০২৪

মালয়েশিয়ায় এক বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে। তার নাম মো. শফিকুল ইসলাম (৩৩)। শুক্রবার (১ মার্চ) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে তিনি মারা যান। পাবনার এ বাসিন্দা মালয়েশিয়ায় গিয়ে মানবেতর জীবনের মুখে পড়েন। অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। এভাবে বিনা চিকিৎসায় দিন পার করছিলেন বলে সহকর্মীরা জানান।

গত বছরের ৫ অক্টোবর পেত্রা জেহরা বারহাদ নামে একটি কন্সট্রাকশান কোম্পানিতে কাজ নিয়ে মালয়েশিয়ায় আসেন ৭১ জন বাংলাদেশি। স্বপ্নের মালয়েশিয়ায় আসার পরপরই স্বপ্ন ভঙ্গ হয় তাদের। প্রায় পাঁচ মাস কাজ না পেয়ে ক্ষুধা এবং চিকিৎসার অভাবে মানবেতর জীবনযাপন করছেন এসব প্রবাসীরা।

এদেরই একজন ছিলেন শফিকুল ইসলাম। ইউনিক নামে একটি রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে মালয়েশিয়ায় আসেন তিনি।

সহকর্মীরা জানান, প্রতিদিনের মতো রাতে ঘুমাতে যান শফিকুল। এরপর আর ঘুম থেকে জেগে উঠেননি।

পেত্রা জেহরা বারহাদ কোম্পানিতে কর্মরত ইফতেকার নামে এক বাংলাদেশি বলেন, মারা যাওয়ার খবর পাওয়ার পর শফিকুল ইসলামকে সেপাং হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

জানা গেছে, সেখানে অবস্থানরত বাকি বাংলাদেশিদের অবস্থাও ভালো নয়। ভয় আর আতঙ্কে সময় কাটে তাদের। নিয়োগকর্তার নিয়োগকৃত লোকের দ্বারা নিয়মিতই নির্যাতনের শিকার হতে হয় এসব প্রবাসীদের।

কাজ না পাওয়ার অভিযোগ নিয়ে মালয়েশিয়ার বাংলাদেশ হাইকমিশনেও যান এদের মধ্যে বেশ কয়েকজন। আশ্বাস মিললেও চূড়ান্ত কোনো সুরাহা করতে পারেনি হাইকমিশন।

এ বিষয়ে মালয়েশিয়ার বাংলাদেশ হাইকমিশনের লেবার কাউন্সিলর সৈয়দ শরিফুল ইসলাম বলেন, পেত্রা জেহরা বারহাদ কোম্পানির বিরুদ্ধে অভিযোগ অনেক। তাদের বিরুদ্ধে আমরা ইতিমধ্যে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। ভবিষ্যতে এই কোম্পানি যাতে নতুন কোনো কর্মী না আনতে পারে সে বিষয়ে পদক্ষেপ নিয়েছে হাইকমিশন। এখনো কাজ না পাওয়া কর্মীদের সমস্যা সমাধানে হাইকমিশন কাজ করছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, শফিকুল ইসলামের মরদেহ কোম্পানির মাধ্যমে দেশে পাঠাতে কাজ করছে হাইকমিশন। একই সঙ্গে বৈধভাবে আসায় তার পরিবার ক্ষতিপূরণ পাবে বলেও জানান এ কর্মকর্তা।

এ বিষয়ে মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত হাইকমিশনার সম্প্রতি সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, যারা এমন কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত তাদের কোনো ছাড় নেই। অভিযোগ রয়েছে এমন কোম্পানিকে পরবর্তীতে কর্মী নিয়োগের অনুমোদন দিতে চিন্তা করবে হাইকমিশন।


আরও সংবাদ