পাকিস্তানে নির্বাচনের পর দুই সপ্তাহের বেশি সময় পার হয়েছে। এখনও দেশটিতে নতুন সরকার গঠনের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে সরকার গঠনের বিষয়ে একমত হয়েছেন পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) ও পাকিস্তান মুসলিম লিগ (পিএমএল-এন)। এবার জানা গেছে দেশটিতে কবে হবে নতুন সরকার গঠন আর প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দ্য ইকোনমিক টাইমসের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
দ্য নিউজ ইন্টারন্যাশনালের বরাতে সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, পাকিস্তানে আগামী ২৯ ফেব্রুয়ারির মধ্যে জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচিত সদস্যদের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এরপর সরকার গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হবে। তবে আগামী ২ মার্চের মধ্যেও এ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। এ ছাড়া আগামী ৯ মার্চের আগেই প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হবে। এভাবে পরিকল্পনা নিয়েই আগাচ্ছে পিএমএল-এন ও পিপিপি জোট।
পাকিস্তানের সংবিধান অনুযায়ী পিএমএল-এন ও পিপিপি জোট সিনেট নির্বাচনের আগে ৯ মার্চের মধ্যে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়টি বিবেচনা করছে। সংবিধানের ৪২(৫) ধারা অনুসারে প্রেসিডেন্ট পদ শূন্য হওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে নির্বাচন হতে হবে। তবে জাতীয় পরিষদ ভেঙে দেওয়ার ফলে ওই সময়ের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত না হলে সাধারণ নির্বাচনের ৩০ দিনের মধ্যে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করতে হবে।
পিএমএল-এন ও পিপিপি জোট ও তাদের অংশীদাররা বর্তমান সিনেটের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে আগামী ৮ মার্চের মধ্যে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করতে চাই। সরকার গঠনে সম্মত এ জোট গত মঙ্গলবার জানায় তারা আসিফ আলি জারদারিকে প্রেসিডেন্ট ও শাহবাজ শরিফকে প্রধানমন্ত্রী করতে সম্মত হয়েছে।
পাকিস্তান পিপলস পার্টির সিনেটর এইচ নায়েক বলেন সংবিধান অনুসারে সাধারণ নির্বাচনের ৩০ দিনের মধ্যে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে হবে।
এর মানে আগামী ৯ মার্চের আগেই প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে