• সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ০৫:০৮ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী সার্কেল হিসেবে সহকারী পুলিশ সুপার মাসুদ রানার যোগদান শেষ সময়ে রাত -দিন এক করে প্রার্থীরা বাড়ি গিয়ে ভোট প্রার্থনা করছেন । অন্যদিকে বিএনপি ভোট বর্জনের লিফলেট বিতরণে মরিয়া হয়ে উঠেছেন । মূকাভিনয় করতে দক্ষিণ কোরিয়ায় যাচ্ছেন ঢাবির সায়েম আকর্ষণীয় বেতনে চাকরি দেবে প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল যুবলীগ নেতাকে প্রকাশ্যে কোপাল দুর্বৃত্তরা সোনার দাম আরও বেড়েছে, ভরি এখন ১ লাখ ১৯ হাজার ৫৪৪ টাকা ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানে আটকে থাকা টাকা ফেরত দিতে কমিটি গঠন গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলা ইসির সিদ্ধান্ত স্থগিত, প্রতিমন্ত্রীর ভাইয়ের প্রার্থিতা বহাল ধোনির ১১০ মিটার ছক্কাই চেন্নাইয়ের বিদায়ের কারণ সার্বজনীন পেনশন স্কিম নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে আসছেন শিক্ষকরা

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল নেতাকে তুলে নিয়ে নির্যাতন, পিস্তল ঠেকিয়ে হুমকির অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিনিধি
নিজস্ব প্রতিনিধি / ১৯
মঙ্গলবার, ৭ মে, ২০২৪
বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লা হিল গালিব।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের এক নেতাকে তুলে নিয়ে নির্যাতন এবং পিস্তল ঠেকিয়ে ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগ উঠেছে শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকসহ ৬ নেতার বিরুদ্ধে। এ সময় ওই ছাত্রদল নেতার বন্ধুকেও মারধর করেন ছাত্রলীগের নেতারা।

সোমবার (৬ মে) রাত ১০টা থেকে ১টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের মাদার বখশ হলের ২১৫ নম্বর কক্ষে এ ঘটনা ঘটে। তবে নির্যাতনের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন ছাত্রলীগের নেতারা।

অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতারা হলেন, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লা হিল গালিব, সহসভাপতি মনু মোহন বাপ্পা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক স্বদেশ শেখ, সাদিকুল ইসলাম সাদিক, সাংগঠনিক সম্পাদক জাহিদ হাসান সোহাগ ও মাদার বখশ হলের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা মিশকাত হাসান।

এদিকে ভুক্তভোগীরা হলেন, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য নাফিউল ইসলাম জীবন ও তার বন্ধু ইউনুস খান। নাফিউল বর্তমানে ওই দলের দপ্তর সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন। তারা দুজনই বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।

ভুক্তভোগী ও ছাত্রলীগ সূত্রে জানা যায়, সোমবার রাত ৯টার দিকে নাফিউল ও তার বন্ধু ইউনুস খান ক্যাম্পাসে ঘুরতে যান। ক্যাম্পাস ঘুরে একপর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের তাপসী রাবেয়া হলের সামনে দাঁড়ালে ছাত্রদল নেতা বুঝতে পারেন ছাত্রলীগের তিনজন নেতা তাদের অনুসরণ করছেন। পরিস্থিতি বুঝে মোটরসাইকেলে করে রোকেয়া হলের পেছনের ফ্লাইওভার সংলগ্ন গেট দিয়ে ক্যাম্পাস ত্যাগ করার চেষ্টা করেন। এ সময় ছাত্রলীগ নেতারা তাদের পথরোধ করেন এবং জোরপূর্বক বিশ্ববিদ্যালয়ের মাদার বখশ হলের ২১৫ নম্বর কক্ষে নিয়ে যান।

এর কিছুক্ষণ পর সেই কক্ষে যান গালিব ও অভিযুক্ত অন্যান্য ছাত্রলীগ নেতারা। কক্ষে গিয়ে ভুক্তভোগী ছাত্রদল নেতাকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন তারা। জিজ্ঞাসাবাদে ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত আছেন বলে স্বীকার করেন নাফিউল ইসলাম। এরপরই তাকেসহ তার বন্ধু ইউনুস খানকে মারধর শুরু করেন গালিব। একপর্যায়ে পিস্তল দেখিয়ে নাফিউলকে নানারকম হুমকি দেওয়া হয়। খবর পেয়ে ক্যাম্পাসে কর্মরত সাংবাদিকরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে রাত ১টার দিকে তাদের বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টরিয়াল টিমের কাছে তুলে দেন ছাত্রলীগ নেতারা।

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী ছাত্রদল নেতা নাফিউল ইসলাম বলেন, আমি ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থাকায় বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক গালিব আমাকে প্রায় তিন ঘণ্টার মতো আটকে রেখে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করেছেন। গালিবের কাছে থাকা একটি পিস্তলে বুলেট লোড-আনলোড করে আমাকে ভয়ভীতি দেখানোর পাশাপাশি নানারকম হুমকিও দিয়েছেন। এছাড়া তারা জোরপূর্বক আমার মোবাইল চেক করেন। এ ছাড়া ভুক্তভোগী ইউনুস খানের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লা হিল গালিব বলেন, ওই ছেলেকে কোনো ধরনের মারধর, হুমকি কিংবা মানসিক নির্যাতন করা হয়নি। তবে এর আগেও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা ক্যাম্পাসে শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করার চেষ্টা করেছে। সেই সন্দেহ থেকে তাকে নিয়ে এসে আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। পরে তাকে প্রক্টরিয়াল টিমের কাছে হস্তান্তর করেছি।

সার্বিক বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক বলেন, ঘটনা জানতে পেরে আমি ওই হলে দুজন সহকারী প্রক্টরকে পাঠিয়েছি। তারা সেখান থেকে তাদের উদ্ধার করে নিয়ে আসেন। তবে মারধর বা ভয়ভীতি প্রদর্শনের কোনো অভিযোগ করেননি ভুক্তভোগীরা।

 


আরও সংবাদ