• সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ০৩:৩৮ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী সার্কেল হিসেবে সহকারী পুলিশ সুপার মাসুদ রানার যোগদান শেষ সময়ে রাত -দিন এক করে প্রার্থীরা বাড়ি গিয়ে ভোট প্রার্থনা করছেন । অন্যদিকে বিএনপি ভোট বর্জনের লিফলেট বিতরণে মরিয়া হয়ে উঠেছেন । মূকাভিনয় করতে দক্ষিণ কোরিয়ায় যাচ্ছেন ঢাবির সায়েম আকর্ষণীয় বেতনে চাকরি দেবে প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল যুবলীগ নেতাকে প্রকাশ্যে কোপাল দুর্বৃত্তরা সোনার দাম আরও বেড়েছে, ভরি এখন ১ লাখ ১৯ হাজার ৫৪৪ টাকা ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানে আটকে থাকা টাকা ফেরত দিতে কমিটি গঠন গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলা ইসির সিদ্ধান্ত স্থগিত, প্রতিমন্ত্রীর ভাইয়ের প্রার্থিতা বহাল ধোনির ১১০ মিটার ছক্কাই চেন্নাইয়ের বিদায়ের কারণ সার্বজনীন পেনশন স্কিম নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে আসছেন শিক্ষকরা

৩০ কোটি টাকা খরচাতেও চট্টগ্রামে ৪ ট্রমা সেন্টার কাজে আসছে না

মুহাম্মাদ শিমুল হুসাইন
মুহাম্মাদ শিমুল হুসাইন / ৯
সোমবার, ৬ মে, ২০২৪
৩০ কোটি টাকা খরচাতেও চট্টগ্রামে ৪ ট্রমা সেন্টার কাজে আসছে না

দুই লেনের ঝুঁকিপূর্ণ চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে প্রায় সময় ঘটে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। এসব দুর্ঘটনায় আহতদের দ্রুত সময়ের মধ্যে চিকিৎসা দিতে মহাসড়কের পাশে চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় নির্মাণ করা হয়েছিল ট্রমা সেন্টার (আহতদের চিকিৎসাকেন্দ্র)। খরচ হয় ৩ কোটি ৮৫ লাখ টাকা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৩ সালে এর উদ্বোধন করেছিলেন। ১০ বছর পার হলেও জনবল ও যন্ত্রপাতির অভাবে এটি চালু হয়নি।

এই মহাসড়কে গত বছর ৮৯টি দুর্ঘটনায় মারা যান ১১২ জন, আহত হন ১২৫ জন। আগের বছর (২০২২) ৭৬টি দুর্ঘটনায় মারা যান ১০৫ জন, আহত হন ১২৪ জন। এই হিসাব বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির। তবে বাস্তবে হতাহতের সংখ্যা আরও বেশি। সমিতির নেতারা বলছেন, ট্রমা সেন্টার চালু থাকলে অনেককে হয়তো বাঁচানো যেত।

শুধু লোহাগাড়া ট্রমা সেন্টার নয়, উদ্বোধনের পরও জনবল ও যন্ত্রপাতির অভাবে চালু হয়নি হাটহাজারী ও রাউজান ট্রমা সেন্টার। আর ফেনী ট্রমা সেন্টার ২০০৭ সালে চালু হলেও নানা সংকটে পুরোপুরি সেবা দিতে পারছে না। এই চার ট্রমা সেন্টারের ভবন নির্মাণে ব্যয় হয়েছে মোট ৩০ কোটি টাকা। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এসব সেন্টার নির্মাণ করলেও এখনো কাজে আসছে না।

সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর সংখ্যা কমাতে হলে ট্রমা সেন্টারগুলো চালু করতে হবে।

যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী

মহাসড়ক ও আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে ট্রমা সেন্টার নির্মাণ করার উদ্দেশ্য ছিল, দুর্ঘটনা ঘটলে দ্রুত চিকিৎসা দিয়ে মৃত্যুহার ও পঙ্গুত্ব কমানো।

জানা গেছে, চট্টগ্রামের তিনটি ট্রমা সেন্টারের প্রতিটি ২০ শয্যা করে। এসব সেন্টারের জন্য একজন আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা, তিনজন জুনিয়র কনসালট্যান্ট, ছয়জন সহকারী সার্জন, নার্স, টেকনোলজিস্টসহ ৩৬টি পদের সুপারিশ করা হয়। কিন্তু এসব পদের বিপরীতে জনবল পদায়ন করা হয়নি। আর ফেনীর জন্য অনুমোদিত ১৯টি পদের বিপরীতে কর্মরত আছেন ৯ জন।

লোহাগাড়া ট্রমা সেন্টার এলাকা থেকে দক্ষিণে কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও উত্তরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যেতে সময় লাগে দুই থেকে তিন ঘণ্টা।

চারটি ট্রমা সেন্টারের মাধ্যমে চট্টগ্রাম বিভাগের অন্তত সাতটি জেলার (চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবান, ফেনী ও নোয়াখালী) মানুষকে চিকিৎসাসেবা দেওয়া সম্ভব।

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) হিসাবে, গত বছর চট্টগ্রাম বিভাগের ১১ জেলায় ১ হাজার ৪৫টি দুর্ঘটনা ঘটে। এতে নিহত হন ৯৪২ জন, আহত হন ১ হাজার ৮৪১ জন। তবে বিআরটিএর এই হিসাব পূর্ণাঙ্গ নয় বলে মনে করেন পরিবহনবিশেষজ্ঞরা। বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির তথ্য অনুযায়ী, এ সময়ে চট্টগ্রাম বিভাগে ১ হাজার ২৩৩টি সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হন ১ হাজার ২০৫ জন। আহত হন ২ হাজার ২৯৪ জন।

বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর সংখ্যা কমাতে হলে ট্রমা সেন্টারগুলো চালু করতে হবে।

ট্রমা সেন্টারটি চালু করতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে বেশ কয়েকবার চাহিদাপত্র পাঠানো হয়েছে।

লোহাগাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মোহাম্মদ হানিফ

লোহাগাড়া ট্রমা সেন্টার

১৪৮ কিলোমিটার দীর্ঘ চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের মধ্যবর্তী এলাকায় কোনো বিশেষায়িত হাসপাতাল নেই। অথচ এখানে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনায় আহতদের চিকিৎসাসেবা দিতে মহাসড়কের পাশে লোহাগাড়ায় ট্রমা সেন্টার নির্মাণ করা হয়েছিল।

লোহাগাড়া ট্রমা সেন্টার এলাকা থেকে দক্ষিণে কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও উত্তরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যেতে সময় লাগে দুই থেকে তিন ঘণ্টা

চট্টগ্রামের তিনটি ট্রমা সেন্টারের প্রতিটি ২০ শয্যা করে। এসব সেন্টারের জন্য একজন আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা, তিনজন জুনিয়র কনসালট্যান্ট, ছয়জন সহকারী সার্জন, নার্স, টেকনোলজিস্টসহ ৩৬টি পদের সুপারিশ করা হয়। কিন্তু এসব পদের বিপরীতে জনবল পদায়ন করা হয়নি। আর ফেনীর জন্য অনুমোদিত ১৯টি পদের বিপরীতে কর্মরত আছেন ৯ জন।

২০২১ সালে লোহাগাড়া উপজেলার তজু মুন্সীর গ্যারেজ এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে পঙ্গুত্ব বরণ করেন উপজেলার আমিরাবাদ গ্রামের বাসিন্দা রমজান আলী। তিনি বলেন, দুর্ঘটনার অন্তত চার ঘণ্টা পর চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাঁকে নেওয়া হয়। উপজেলার ট্রমা সেন্টার চালু থাকলে তিনি পাঁচ মিনিটের মধ্যে চিকিৎসা পেতেন। তাহলে তাঁকে পঙ্গুত্ব বরণ করতে হতো না।

সম্প্রতি সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, লোহাগাড়া ট্রমা সেন্টারের প্রধান ফটকে তালা ঝুলছে। ভবনের ভেতরের কক্ষগুলোর দরজা-জানালা বন্ধ। অযত্ন ও অবহেলায় পড়ে আছে ভবন। ভবনের দেয়ালের রং উঠে যাচ্ছে। দেয়ালের কোথাও কোথাও পরগাছা জন্মাতে শুরু করেছে।

লোহাগাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মোহাম্মদ হানিফ প্রথম আলোকে বলেন, ট্রমা সেন্টারটি চালু করতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে বেশ কয়েকবার চাহিদাপত্র পাঠানো হয়েছে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি সড়কের হাটহাজারী অংশে প্রায় সময় দুর্ঘটনা ঘটে। গত এক বছরে অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছেন। দুর্ঘটনার পরপরই তাঁদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল নিয়ে যাওয়া হয়।

হাটহাজারীতে ট্রমা সেন্টার

চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলা সদরের কাচারি সড়কে ১১ কোটি ৯১ লাখ টাকায় নির্মাণ করা হয় ট্রমা সেন্টার। ২০২১ সালের ৪ এপ্রিল এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন সংসদ সদস্য আনিসুল ইসলাম মাহমুদ। উদ্বোধনের তিন বছর পার হলেও এখনো কোনো জনবল ও যন্ত্রপাতি বরাদ্দ দেওয়া হয়নি।

সম্প্রতি দেখা যায়, ট্রমা সেন্টারের মূল ফটকে একাধিক তালা ঝুলছে। কেন্দ্রটি বন্ধ থাকায় মূল ফটকের সামনেই বসেছে সবজি বিক্রির দোকান।

হাটহাজারী উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা রশ্মি চাকমা প্রথম আলোকে বলেন, জনবল ও যন্ত্রপাতি বরাদ্দ পেতে যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে বারবার চিঠি দিয়ে যাচ্ছেন তিনি।

স্থানীয় সূত্র জানায়, চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি সড়কের হাটহাজারী অংশে প্রায় সময় দুর্ঘটনা ঘটে। গত এক বছরে অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছেন। দুর্ঘটনার পরপরই তাঁদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল নিয়ে যাওয়া হয়।

রাউজানে ট্রমা সেন্টার

হাটহাজারীর ট্রমা সেন্টারের মতো একই অবস্থা রাউজানের ট্রমা সেন্টারেরও। রাউজান পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ঢালারমুখ এলাকায় চট্টগ্রাম-রাঙামাটি সড়কের পাশে এই ট্রমা সেন্টারের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয় গত বছরের অক্টোবরে। এই ভবন নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ১১ কোটি ৯১ লাখ টাকা।

আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হলেও এখন পর্যন্ত জনবল ও যন্ত্রপাতি বরাদ্দ দেওয়া হয়নি। এখানে দুটি আবাসিক ভবন ও চিকিৎসাকেন্দ্রের জন্য একটি ভবন রয়েছে। মূল ফটকে তালা দেখা যায়।

চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, জনবলের অভাবে ট্রমা সেন্টারগুলো চালু করা যাচ্ছে না। তবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কাছে জনবল চেয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে।

জনবল ও অবকাঠামো-সংকটের কারণে বর্তমানে শুধু বহির্বিভাগ সেবা কার্যক্রম চালু রয়েছে। সংকটের কথা একাধিকবার লিখিতভাবে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।

ফেনী জেলা সিভিল সার্জন শিহাব উদ্দিন

ফেনী ট্রমা সেন্টার চালু, তবে…

চারটি ট্রমা সেন্টারের মধ্যে একমাত্র ফেনী ট্রমা সেন্টার চালু আছে। কিন্তু সেখানে পর্যাপ্ত জনবল নেই। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক ও ফেনী-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে ফেনীর মহিপালে ২০০৪ সালে নির্মাণ করা হয় সেন্টারটি। ২০০৬ সালের ৩০ অক্টোবর ট্রমা সেন্টারের বহির্বিভাগে স্বাস্থ্যসেবা চালু হয়। এটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছিল ২ কোটি ৭৬ লাখ টাকা।

প্রয়োজনীয় চিকিৎসক, চিকিৎসা সরঞ্জাম ও যন্ত্রপাতি এবং জনবলসংকটে খুঁড়িয়ে চলছে সেন্টারের সেবা কার্যক্রম। সড়ক দুর্ঘটনায় আহতদের চিকিৎসা দেওয়া মূল উদ্দেশ্যে হলেও তা বাস্তবায়িত হচ্ছে না। সড়ক দুর্ঘটনায় আহত ব্যক্তিদের ফেনী জেনারেল হাসপাতাল বা চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

ফেনীর ২০ শয্যাবিশিষ্ট ট্রমা সেন্টারে অনুমোদিত পদ ১৯টি। এর বিপরীতে বর্তমানে কর্মরত আছেন মাত্র ৯ জন। তাঁদের মধ্যে আটজন নার্স থাকার কথা থাকলেও আছেন পাঁচজন। জুনিয়র কনসালট্যান্ট (অর্থোপেডিক) পদে একজনকে পদায়ন করা হলেও তাঁকে ফুলগাজী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রেষণে পাঠানো হয়েছে।

ট্রমা সেন্টারের চিকিৎসা কর্মকর্তা ইসমাইল হোসেন জানান, এখানে সাধারণত ডায়রিয়া, জ্বর, সর্দিকাশিতে আক্রান্ত রোগীরাই চিকিৎসা নিতে আসেন। কখনো হাড়ভাঙা ও দুর্ঘটনায় আক্রান্ত আশঙ্কাজনক রোগী এলে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ফেনী সদর জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়।

ফেনী জেলা সিভিল সার্জন শিহাব উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, জনবল ও অবকাঠামো-সংকটের কারণে বর্তমানে শুধু বহির্বিভাগ সেবা কার্যক্রম চালু রয়েছে। সংকটের কথা একাধিকবার লিখিতভাবে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।

একদিনও ব্যবহার করা হয়নি যন্ত্রপাতি

ফেনী ট্রমা সেন্টারের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা জানান, লোকবল না থাকায় ট্রমা সেন্টারের এক্স-রে, ইসিজি, আলট্রাসনোগ্রাফি, জেনারেটর এবং অপারেশন থিয়েটার ও প্যাথলজি ল্যাবের প্রায় সব যন্ত্রপাতি নষ্ট হচ্ছে।

২১ মার্চ দেখা যায়, হাসপাতালের তৃতীয় তলায় রোগীদের শয্যা রয়েছে। নিচতলায় এক্স-রে কক্ষ ও ল্যাব। দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহার না করায় নষ্ট হচ্ছে এক্স-রে ও ল্যাবের যন্ত্রপাতি।

ফেনী ট্রমা সেন্টারের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) এস এম সাইফুল আলম জানান, এক্স-রে যন্ত্রটি গত ১৬ বছরে একবারও ব্যবহার করা হয়নি। একটি ইসিজি যন্ত্র থাকলেও পেপার না থাকায় ব্যবহার করা হয় না। দুটি অ্যানেসথেসিয়া যন্ত্র কখনো ব্যবহার হয়নি। একটি অটোক্লেভ (জীবাণুমুক্তকরণ যন্ত্র) যন্ত্র বাক্সবন্দী হয়ে পড়ে রয়েছে। অপারেশন থিয়েটারের (ওটি) কিছু যন্ত্রপাতি দেওয়া হলেও ওটি চালু করা হয়নি। দীর্ঘদিন পড়ে রয়েছে। এগুলো ভালো আছে নাকি নষ্ট হয়ে গেছে, সেটা তো না দেখে বলা যাবে না।

জনস্বাস্থ্য অধিকার রক্ষা কমিটির সদস্যসচিব সুশান্ত বড়ুয়া প্রথম আলোকে বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় আহতদের দ্রুত সেবা দিতে ট্রমা সেন্টার তৈরি করা ছিল গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। কিন্তু বছরের পর বছর ধরে এসব ট্রমা সেন্টারের ভবনগুলো ফেলে রাখা হয়েছে, তা দুর্ভাগ্যজনক। এতে এক দিকে আহত ব্যক্তিরা চিকিৎসা পাচ্ছেন না, আবার জনগণের কষ্টার্জিত টাকায় নির্মিত ভবনগুলো কোনো কাজে না আসায় অর্থের অপচয় হচ্ছে। এগুলো সার্বক্ষণিক চালু রাখতে জনবল ও যন্ত্রপাতি বরাদ্দ দিতে হবে।


আরও সংবাদ