• শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ০৫:১০ অপরাহ্ন

কেমন হতে চলেছে পত্নীতলা উপজেলা পরিষদ নির্বাচন

মুহাম্মাদ শিমুল হুসাইন
মুহাম্মাদ শিমুল হুসাইন / ১৫
বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪

নওগাঁ প্রতিনিধি:

ঘনিয়ে আসছে ১ম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দিন। এরই মধ্যে সকল প্রার্থীদের মনোনয়ন দাখিল, যাচাই-বাছাই ও প্রতিক বরাদ্দের কাজ শেষ হয়েছে। প্রার্থীরা নিজেদের পছন্দের প্রতিক নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রচারণা শুরু করেছেন। ১ম ধাপের ১২৫টি উপজেলায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে যার মধ্যে রয়েছে নওগাঁ-২ আসনের পত্নীতলা উপজেলা। বর্তমানে গ্রামের চায়ের স্টল থেকে শুরু করে উপজেলার সব্বোর্চ্চ মহল পর্যন্ত গুঞ্জন চলছে কে হতে চলেছে আগামী পাঁচ বছরের জন্য পত্নীতলা উপজেলার অভিবাবক। পত্নীতলা উপজেলা নির্বাচনে তিন টি পদে মোট ৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন। এর মধ্যে উপজেলা চেয়ারম্যান পদে দুই জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে তিন জন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে দুইজন। পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে তেমন লড়াই দেখা না গেলেও চেয়ারম্যান পদে ভোটের লড়াইটি বেশ জমজমাট হয়ে উঠেছে। এ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে মটোরসাইকেল মার্কায় লড়াই করছেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক, উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আব্দুল গাফফার ও ঘোড়া মার্কায় লড়াই করছেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালেক চৌধুরী।

এই নির্বাচন কে কেন্দ্র করে পত্নীতলা উপজেলা আওয়ামীলীগ দুটি ভাগে বিভক্ত হয়েছে। একটি পক্ষ কাজ করছেন পত্নীতলা উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমানের উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আব্দুল গাফফার এর পক্ষে অপর একটি পক্ষ কাজ করছেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালেক চৌধুরী’র পক্ষে। নেতাকর্মীদের নিজেদের মধ্যে বিভক্তির কারণে কোনঠাষায় পড়েছে স্থানীয় পর্যায়ে আওয়ামীলীগের সাধারণ কর্মীরা।

তবে মাঠ পর্যায়ে জরিপ করে দেখা যায় ভিন্ন চিত্র। দলীয় নেতাকর্মীরা বিভক্ত হলেও সাধারণ ভোটাররা বরছেন অন্য কথা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুকশর্তে, নজিপুর সদর ইউনিয়নের নাদৌর গ্রামের একাধিক ভোটার বলেন, ভাই আমরা সবই বুঝি কে ভালো আর কে খারাপ। কার দ্বারাই সমাজের উপকার হবে আর কার দ্বারাই সাধারণ মানুষের ক্ষতি হবে। আজ দেখি কিছু হাইব্রিড মার্কা নেতারা উঁচু গলায় বলে বেড়াচ্ছে আপনারা এমএ পাশ করা শিক্ষিত প্রার্থীকে ভোট দেন। আমরা তাদের কে বলছি ভাই ভূমি দস্যু, নিয়োগ বানিজ্যকারী এমএ পাশ করা অসৎ প্রার্থীর চেয়ে আমাদের একজন সৎ কম শিক্ষিত প্রার্থীই প্রয়োজন।

ঘোষনগর ইউনিয়নের কোতালি ও গগনপুর গ্রামের একাধিক ভোটার বলেন, অনেকেই বলছে চেয়ারম্যান পদে নাকি খুব লড়াই হবে। কিন্তু আমাদের তো তা মনে হচ্ছেনা। কারণ জনগণ আর বোকা নেই। আমরা দেখেছি আব্দুল খালেক চৌধুরীর ( ঘোড়া ) মার্কার পক্ষে যেসব নেতাকর্মীরা কাজ করছে তাদের অধিকাংশগুলোই হলো অসৎ ব্যক্তি, যাদের কে সমাজের মানুষ ঘৃণা করে। যদি বলি, আবুল কালাম আযাদ ( অরুণ ) সে বেনু কাজির জায়গা দখল করে বাড়ি করে আছে, নজিপুর পৌরসভার মেয়র রেজাউল করীর চৌধুরী ( বালুবাবু ) তিনি, কোন লেবার না খাটিয়ে প্রতিদিন পৌরসভা থেকে মোটা অংকের টাকা মেরে দিচ্ছেন শুধু তাই নয়, সওজ এর জায়গা লিজ দিয়ে প্রতিদিন চাঁদা খাচ্ছে নজিপুর বাসস্ট্যান্ডের ফুটপাতের দোকানদারদের কাছ থেকে। দিবর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রাহাদ জামান, তিনি তো আবার ক্ষমতার অপব্যবহার করে সরকারি গাছ নিজের মনে করে বিক্রি করতে গিয়ে ধরা খেয়ে মামলায় খেয়েছেন, পত্নীতলা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মোস্তফা শাহ তিনি , চেয়ারম্যান থাকা অবস্থায় এক পক্ষের থেকে টাকা খেয়ে অন্যায় ভাবে বিচারের নামে নির্যাতন করে বর্তমানে সাজাপ্রাপ্ত আসামী। আর গোষনগর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান বক্কর চেয়ারম্যানের কথা কি বলবো, বক্কর চেয়ারম্যানের বিষয়ে পুরো দেশের মানুষ জানে সে কেমন মানুষ, নিয়োগ বানিজ্য করে আজ কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছে অথচ তার বাবার ৩/৪ বিঘা জমিও ছিলোনা। তাছাড়া তার বাবা একজন রাজাকার ছিলো। আজ রাজাকারের ছেলেরা এসে বলে আমি আওয়ামীলীগের বড় নেতা। ভাই জনগণ আর বোকা নেই।

এসকল অভিযোগ অস্বিকার করে বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালেক চৌধুরীর কর্মীরা বলেন, আমাদের নেতার জনপ্রিয়তা দেখে তাদের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। যার ফলে আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য প্রচার করা হচ্ছে।

 


আরও সংবাদ