• সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ০২:৪৯ অপরাহ্ন

হিলি স্থল বন্দরে ৬ দিনে ২১২৭ মেঃটন আলু আমদানি।

মুহাম্মাদ শিমুল হুসাইন
মুহাম্মাদ শিমুল হুসাইন / ১২৯
শুক্রবার, ৫ এপ্রিল, ২০২৪

নুরুজ্জামান হোসেন হিলি থেকে
খোলা বাজারে আলুর দাম কিছুটা ঊর্ধ্বমুখী হওয়ায় হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে আলু আমদানির পরিমাণ বাড়িয়েছেন আমদানিকারকরা। বাজারে চাহিদা থাকা পর্যন্ত আলু আমদানি অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন আমদানিকারকরা।

গেল ৬ দিনে বন্দর দিয়ে ৭১টি ট্রাকে ২ হাজার ১ শত ২৭ মেঃ টন আলু আমদানি হয়েছে। শনিবার ১৩টি ট্রাকে ৩৫০মেঃটনরবিবার ৩টি ট্রাকে ৭৩ মেঃটনসোমবার ২টি ট্রাকে ৫৭মেঃটন মঙ্গলবার ১৩টি ট্রাকে ৩৪৮মেঃ টন বুধবার ২৬ টি ট্রাকে ৬৭৮ মেঃটন এবং আজ বৃহস্পতিবার ২৪টি ট্রাকে ৬২১ মেঃটন আলু আমদানি হয়েছে।

হিলি স্থলবন্দরের আলু আমদানিকারক রকি ট্রেডাসের প্রতিনিধি বাবু বলেন, দেশের বাজারে আলুর সরবরাহ স্বাভাবিক ও দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে গত ১ ফেব্রুয়ারি ভারত থেকে আলু আমদানির অনুমতি দিয়েছে। ১৫ মার্চ পর্যন্ত আলু আমদানির অনুমতির মেয়াদ দেওয়া ছিল। পরবর্তী সময়ে যা বাড়িয়ে ৩১ মার্চ পর্যন্ত নির্ধারণ করেছে । সেই সময়সীমা ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। আলু আমদানির অনুমতি পাওয়া আমদানিকারকরা ৩ ফেব্রুয়ারি থেকে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আলু আমদানি শুরু করেন। আলু আমদানি করে লোকসান হওয়ায় হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আলু আমদানি বন্ধ হয়ে যায়।

সুমাইয়া ইন্টার প্রাইজের প্রতিনিধি সাইফুলই সলাম বলেন ইন্ডিয়া থেকে আলু আমদানি করে বন্দরে যে দামে বিক্রি হয়েছে, বাজারে আলুর দাম তার চেয়ে কম উল্লেখ করে তিনি বলেন, আলু আমদানি করে লোকসান হওয়ায় আলু আমদানি বন্ধ করে দেন আমদানিকারকরা। বর্তমানে আবারও দেশের বাজারে আলুর দাম বাড়লে ও আমদানির মেয়াদ বৃদ্ধি হলে আলু আমদানি শুরু করেছেন বন্দরের আমদানিকারকরা। বর্তমানে ভারত থেকে কার্ডিনাল জাতের আলু আমদানি করে সরকারের কেজি প্রতি শুল্ক ৭ থেকে ৮ টাকা যোগ করে ৩৭থেকে ৩৮ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। ক�

বর্তমানে ভারত থেকে কার্ডিনাল জাতের আলু আমদানি করে সরকারের কেজি প্রতি শুল্ক ৭ থেকে ৮ টাকা যোগ করে ৩৭থেকে ৩৮ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। কিন্তু দেশের বাজারে বর্তমানে কার্ডিনাল জাতের আলু বিক্রি হচ্ছে ৩৪/৩৫টাকা দরে, যার কারণে এই জাতের আলু আমদানি না করে সাদা ডায়মন্ড আলু আমদানি হচ্ছে যা শুল্ক পরিশোধ করে বন্দরে এসে দাম পড়ছে ৩০ টাকার মতো। বন্দরে এই জাতের আলু বিক্রি হচ্ছে ৩২/৩৩ টাকা কেজি দরে। বাজারেআলুর দাম বেশি তাই এই জাতের আলুতে কিছুটা লাভ থাকায় আলু আমদানির পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে ।

হিলি স্থলবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন বলেন, চলতি সপ্তাহে বন্দর দিয়ে আলুর আমদানি খানিকটা বেড়েছে। আর আলু আমদানির ফলে সরকারের রাজস্ব আহরণ বেড়েছে তেমনি বন্দর কর্তৃপক্ষের দৈনন্দিন আয় বেড়েছে। সেই সাথে বন্দরে কর্মরত শ্রমিকদের আয় অনেকটা বেড়েছে। এছাড়া আলু যেহেতু কাঁচা পণ্য তাই কাস্টমসের সব প্রক্রিয়া শেষে দ্রুত যেন আমদানিকারকরা বন্দর থেকে আলু খালাস করে নিতে পারেন সে জন্য বন্দর কর্তৃপক্ষ সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করে রেখেছে।

হিলি স্থলবন্দর উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের উপসহকারী সংগনিরোধ কর্মকর্তা ইউসুফ আলী বলেন, দেশে আলুর সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে ও দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে গত ১ ফেব্রুয়ারি আলু আমদানির অনুমতি দিয়েছে সরকার। হিলি স্থলবন্দরের ৫০ জন আমদানিকারক প্রায় ৩৫ হাজার টন আলু আমদানির অনুমতি পেয়েছিলেন। গত ৩ ফেব্রুয়ারি থেকে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আলু আমদানি শুরু করেন আমদানিকারকরা। দেশের বাজারে আলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ও ব্যবসায়ীদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মেয়াদ বাড়িয়ে আমদানির অনুমতির সময়সীমা বাড়িয়ে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত নির্ধারণ করে সরকার। এই সময়সীমা পর্যন্ত অনুমোদনপ্রাপ্ত আমদানিকারকরা আলু আমদানি করতে পারবেন। বন্দর দিয়ে আমদানিকৃত এসব আলু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সার�

 

বন্দর দিয়ে আমদানিকৃত এসব আলু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সার্টিফিকেট প্রদান করা হচ্ছে যাতে দ্রুত তারা খালাস করে নিতে পারেন।

 


আরও সংবাদ