• সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ০২:৩৩ অপরাহ্ন

সবকিছুর হিসাব সরকারকে দিতেই হবে : ফারুক

নিজস্ব প্রতিনিধি
নিজস্ব প্রতিনিধি / ২৭
বৃহস্পতিবার, ৭ মার্চ, ২০২৪

বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুক বলেছেন, আমরা খাতায় লিখে রাখছি, হিসাব-নিকাশ আমাদের কাছেও আছে। ১৫ বছর অত্যাচার করেছেন, জেলখানায় ১৫ জনকে মেরে ফেলেছেন, অসংখ্য নেতাকর্মীকে গুম করেছেন, ২৯ হাজার নেতাকর্মীকে জেলে পুরেছেন। সব কিছু আমাদের মনে আছে।

তিনি বলেন, ৭ জানুয়ারির নির্বাচনী প্রহসন দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ প্রত্যাখ্যান করেছে। এতে হতাশ হওয়ারও কিছু নেই। দ্বাদশ সংসদ বাতিল ও একদফা দাবিতে আমাদের আন্দোলন চলছে। সুতরাং এ নির্বাচন ও নতুন সরকার দেশে-বিদেশে কোনো গ্রহণযোগ্যতা পায়নি। এ সরকারকে বিদায় নিতে হবে।

বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন তিনি। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতি ও বিদ্যুৎ জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে এবং দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াসহ সব রাজবন্দির মুক্তির দাবিতে জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) উদ্যোগে এ মানববন্ধন হয়।

জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, গত বছর তিনবার বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির পর এই ফ্যাসিবাদী সরকার কোন যুক্তিতে আবার বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি করছে, তা বোধগম্য নয়। বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি মানে কলকারখানার উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি, কলকারখানার উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি মানে সাধারণ জিনিসপত্রের দাম আরেক দফা বৃদ্ধি। সাধারণ মানুষকে এখন দুই বেলা দুই মুঠো ভাত খেতে হিমশিম খেতে হয়, সেখানে জিনিসপত্রের দাম আর এক দফা বৃদ্ধি করলে সাধারণ জনকে কীভাবে বাঁচবে? এ ব্যাপারেই সরকারের কোনো চিন্তা-ভাবনা নেই। কারণ এ সরকার একটি গণবিচ্ছিন্ন সরকার। জনগণের ভোটের অধিকার হরণ করে তারা ক্ষমতায় এসেছে। এজন্য দেশের জনগণের উন্নয়ন কখনো তাদের মাধ্যমে হবে না।

ফারুক আরও বলেন, গত ১৫ বছর ধরে আমরা সরকারকে বলে আসছি, গরিব মানুষ যাতে পেট ভরে খেতে পারে, সচ্ছল মানুষ যেন রোজার সময় নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রগুলো কিনতে পারে। কিন্তু সরকার তাতে কর্ণপাত করে না, নিজেদের হালুয়া রুটি-ক্ষমতা পাকাপোক্ত করার জন্য যা যা দরকার তাই করে।

কারণ তারা চায় না বাংলাদেশের মানুষ সুখে থাকুক, তারা চায় না বাংলাদেশের মানুষ পেট ভরে দুবেলা ভাত খাক। তারা শুধু চায় এমন একটি নির্বাচন, যে নির্বাচনের মাধ্যমে সংসদ সদস্য তৈরি করা হবে— যারা ব্যবসাবান্ধব হবে। ব্যবসায়ী হবে, সরকারকে টাকা দেবে, বলেন তিনি।

জাগপার সভাপ‌তি খন্দকার লুৎফর রহমান বলেন, সামনে পবিত্র রমজান মাস আসছে। রমজানকে কেন্দ্র করে সরকারদলীয় সিন্ডিকেট জিনিসপত্রের দাম আরেক তরফা বাড়িয়ে প্রমাণ করেছে, এ সরকার জনগণের নয়। প্রতিনিয়ত মিথ্যা মামলা দিয়ে সরকার বিএনপিসহ এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের প্রতিনিয়ত হয়রানি করছে। আমরা অবিলম্বে সব রাজবন্দিদের মুক্তি চাই।

জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি জাগপার সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা খন্দকার লুৎফর রহমানের সভাপতিত্বে ও জাগপার সাধারণ সম্পাদক এস এম শাহাদাতের পরিচালনায় এতে আরও বক্তব্য রাখেন ন্যাশনাল পিপলস পার্টি- এনপিপির চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, মহাসচিব মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা, গণদলের চেয়ারম্যান এ টি এম গোলাম মাওলা, জাগপার যুগ্ম সাধারণ ডা. আওলাদ হোসেন শিল্পী, কৃষক দলের সহসাধারণ সম্পাদক এস এম জাহাঙ্গীর আলম, যুব জাগপার সভাপতি মীর আমির হোসেন আমু প্রমুখ।


আরও সংবাদ