• রবিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৫:৩৫ অপরাহ্ন

ভুয়া এমপি শামীমুরসহ দুজন কারাগারে

নিজস্ব প্রতিনিধি
নিজস্ব প্রতিনিধি / ৯১
বৃহস্পতিবার, ৭ মার্চ, ২০২৪
আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন : ০১৯১১৬৫২৫৭০ (হোয়াটসঅ্যাপ)

প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের মামলায় রিমান্ড শেষে ভুয়া এমপি শামীমুর রহমান ওরফে মিজানুরসহ দুজনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (মার্চ) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মোশাররফ হোসেনের আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। একইসঙ্গে জামিন শুনানির জন্য আগামী রোববার দিন ধার্য করা হয়েছে। অপর আসামি হলেন- পার্লামেন্ট মেম্বারস ক্লাবের কম্পিউটার অপারেটর রাহুল হোসেন।এর আগে গত ৪ মার্চ গ্রেপ্তারের পর তিন আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় আসামি শামীমুর ও রাহুলের পাঁচ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও শেরেবাংলা থানার উপপরিদর্শক মো. আনোয়ার হোসেন খান। শুনানি শেষে আদালত গ্রেপ্তার ভুয়া এমপি শামীমুর ও কম্পিউটার অপারেটর রাহুলের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, আসামি রাহুলের মাধ্যমে পার্লামেন্ট মেম্বারস ক্লাবের কম্পিউটার রুমে চাকরিপ্রত্যাশীদের রক্তের নমুনা সংগ্রহ করেন। তখন মেডিকেল ফি বাবদ ৫ লাখ ৯৪ হাজার টাকা টাকা নেয়। গত ২৯ ফেব্রুয়ারি সকাল ১১টার দিকে সংসদ ভবনের ভেতরে পার্লামেন্ট মেম্বারস ক্লাবের নিচ তলা থেকে ৬৬ হাজার টাকা নেন ভুয়া এমপি মিজানুর। তখন মেডিকেল ফি বাবদ ৪০ জনের কাছে থেকে ৬ লাখ ৬০ হাজার টাকা নেন। একই সময়ে ২৩ জনের ইমারজেন্সি পুলিশ ক্লিয়ারেন্স বাবদ আরও ৯২ হাজার টাকা নেন। কসোভো দূতাবাস থেকে একটা টিম চাকরিপ্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকার নিতে আসবে বলে জানানো হয়। পরে গত ২ মার্চ সিলেকশন করে দেওয়ার কথা বলে সংসদ ভবনের মেটসেফ রেস্টুরেন্টে বসে ১৫ জনের কাছে থেকে ৯ লাখ ৪০ হাজার টাকা নেয়।মামলার এজাহারে আরও উল্লেখ হয়েছে, সাক্ষাৎকারের সময় কোনো ডেলিগেট না থাকায় চাকরিপ্রত্যাশীদের সন্দেহ হয়। তখন তারা খোঁজখবর নিয়ে জানতে পারেন শামীমুর রহমানের এমপি পরিচয়টা ভুয়া। সাক্ষাৎকার বোর্ডে ডেলিগেট পরিচয়ে থাকা মহিলা ভুয়া এমপি শামীমুরের স্ত্রী। এ ছাড়া রাহুল পার্লামেন্ট মেম্বারস ক্লাবে মাস্টাররোলে নিয়োগপ্রাপ্ত কম্পিউটার অপারেটর। তিনি বিভিন্ন সময়ে গেট পাস সংগ্রহ করে সংসদ ভবনে প্রবেশ করার সুযোগ করে দিতেন। প্রতারণার শিকার হয়েছেন বুঝতে পারেন তারা। পরে ভুয়া এমপি শামীমুরের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বাকি টাকা নিয়ে আসতে বলেন। গত ৩ মার্চ সংসদ ভবনের ১২নং গেটের সামনে গিয়ে শামীমুরকে কল দেন। তখন তিনি রাহুলের মাধ্যমে সংসদের গেট পাস সংগ্রহ করে দেন। এরপর চাকরিপ্রত্যাশীরা সংসদ ভবনের ভেতরে পার্লামেন্ট মেম্বারস ক্লাবের নিচ তলায় যান। সেখানে বিদেশ নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে তাদের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। তখন সংসদ ভবনের নিরাপত্তায় নিয়োজিত পুলিশ গিয়ে তাদের আটক করে। এ ঘটনায় মেহেদী হাসান বাদী হয়ে শেরেবাংলা থানায় মামলা করেন।


আরও সংবাদ

জরুরি হটলাইন