• সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ০৫:০৪ অপরাহ্ন

‘৭ই মার্চ ও বঙ্গবন্ধু গোটা পৃথিবীর অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে’

নিজস্ব প্রতিনিধি
নিজস্ব প্রতিনিধি / ২৭
বৃহস্পতিবার, ৭ মার্চ, ২০২৪

যতদিন পৃথিবীতে মুক্তির সংগ্রাম থাকবে ততদিন ৭ই মার্চের ভাষণ ও বঙ্গবন্ধু শুধু আমাদের জন্য নয় গোটা পৃথিবীর কাছে অনুপ্রেরণা হিসাবে থাকবে। বাঙালির স্বাধীনতার মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭১ সালের ছয় মার্চ অত্যন্ত চাতুর্যতার সঙ্গে ভাষণে বলেন ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবাবের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।’

তিনি জানতেন, তিনি যদি সরাসরি স্বাধীনতার ঘোষণা দেন তাহলে সেই সময়ের রেসকোর্স ময়দানে পাকিস্তানী বাহিনী এই সভাকে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সভা অ্যাখ্যা দিয়ে আমাদের স্বাধীনতার আন্দোলনকে নস্যাৎ করতে পারে ভেবেই সরাসরি ওইদিন স্বাধীনতার ঘোষণা না দিয়েও কৌশলে বাঙালিকে স্বাধীনতার ডাক দেন।

বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) বেলা ১২টায় রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ‘সম্প্রীতি বাংলাদেশ’ আয়োজিত ‘এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।

বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ই মার্চের ভাষণ গুরুত্ব বিবেচনায় এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, বাংলাদেশ নির্মাণে নায়ক ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ৭ই মার্চ ছিল হাজার বছরের বাঙালি জাতির মুক্তির সনদ। ৭৫ এর পরবর্তী সময়ে আমাদের এই ভাষণ শুনতে দেওয়া হয়নি। তখন এই ভাষণ শোনার জন্য আমরা নানা রকম অত্যাচার নির্যাতনের শিকার হয়েছি। ফিদেল কাস্ত্রো হয় তো এই জন্যই বলেছিলেন আমি হিমালয় দেখিনি আমি একজন শেখ মুজিবকে দেখেছি। আজকের ‘এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনা সভায় প্রত্যেক আলোচকের আলোচনা সংরক্ষণ করা যেতে পারে। এখানে যারা বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চ নিয়ে আলোচনা করেছেন। তাদের আলোচনা অনেক তথ্যবহুল যা জাতির জানা উচিত।

প্রধান অতিথি ছাড়াও অনুষ্ঠানে আলোচনা করেন অধ্যাপক ড. উত্তম কুমার বড়ুয়া, রফিকুল ইসলাম,বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য বিশ্বজিত চন্দ্র চন্দ্, বঙ্গবন্ধু গবেষক মেজর (অব.) হাফিজ বলেন, জেষ্ঠ সাংবাদিক শফিকুল করিম সাবু বলেন, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক বিশ্বজিত ঘোষ প্রমুখ।

আলোচনা সভার সভাপতিত্বকালে সম্প্রতি বাংলাদেশের আহ্বায়ক পীযুষ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ১৯৭১ সাল ৭ই মার্চ বাঙালি জাতির জন্য এক ঐতিহাসিক দিন ছিল। এদিন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অত্যন্ত সুকৌশলে একটি জাতির স্বাধীনতার ইস্তেহার ঘোষণা করেছিলেন। আমি তখন ২১ বছরের যুবক আমিও অন্যান্য তরুণদের মত সেই সময় রেসকোর্স ময়দানে উপস্থিত হয়েছিলাম। শুনেছিলাম তার অগ্নিঝরা কণ্ঠস্বর। ভাবা যায় ১০ লক্ষ মানুষের সামনে কোনরকম প্রস্তুতি ছাড়া এবং সুকৌশলে একটি জাতির স্বাধীনতা আন্দোলনকে বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন বলে চালিয়ে দেওয়ার চক্রান্তে থাকা পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর সামনে স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রস্তুতির আহ্বান জানালেন।

অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সম্প্রীতি বাংলাদেশের সদস্য সচিব অধ্যাপক ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীল।


আরও সংবাদ