• সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ০৬:৩২ অপরাহ্ন

এ বছরেই বিজেএমসির সব বন্ধ মিল চালু হবে: বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী

মুহাম্মাদ শিমুল হুসাইন
মুহাম্মাদ শিমুল হুসাইন / ৪৪
বুধবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২২

এ বছরের মধ্যে পর্যায়ক্রমে বাংলাদেশ পাটকল করপোরেশনের (বিজেএমসি) সব বন্ধ মিল চালু করা হবে বলে জানিয়েছেন বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী।

বুধবার দুপুরে চট্টগ্রামে আমিন জুটমিল পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিক একথা বলেন মন্ত্রী।

পরিদর্শনকালে, চট্টগ্রামস্থ বিজেএমসির ঊর্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ পাটকল করপোরেশনের (বিজেএমসি) ভাড়াভিত্তিক মিলে বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় উৎপাদন ও উৎপাদিত পাটপণ্য রপ্তানি শুরু হয়েছে। এসব মিলে নতুন করে অনেকের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হয়েছে।

ইতোমধ্যে তিনটি জুট মিল (নরসিংদীর বাংলাদেশ জুট মিলস্ লি., চট্টগ্রামের কেএফডি জুট মিলস্ লি., সিরাজগঞ্জের জাতীয় জুটমিল ভাড়াভিত্তিক ইজারা দেয়া সম্ভব হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘আরো তিনটি জুট মিলের লিজ কার্যক্রম চলমান রয়েছে।’

মন্ত্রী আশা প্রকাশ করে বলেন, ‘ভাড়াভিত্তিক লিজ দেয়া মিলসমূহে নতুন করে অনেকের কর্মসংস্থানের সুযোগ হবে এবং এ ক্ষেত্রে অবসানকৃত শ্রমিকরা অগ্রাধিকার পাচ্ছেন।’

উল্লেখ্য, সরকারি সিদ্ধান্তে পাটকলসমূহের বিরাজমান পরিস্থিতির স্থায়ী সমাধান ও পাটখাত পুনরুজ্জীবিত করার লক্ষ্যে ২০২০ সালের ১ জুলাই থেকে বিজেএমসির নিয়ন্ত্রণাধীন রাষ্ট্রায়ত্ত ২৫টি জুট মিলের উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

২৫টি জুট মিলের সকল স্থায়ী শ্রমিকের গ্রাচ্যুইটি, পিএফ, ছুটি নগদায়নসহ সমুদয় পাওনা গোল্ডেন হ্যান্ডশেক সুবিধার মাধ্যমে প্রায় তিন হাজার ৫৬৩ কোটি টাকা পরিশোধ করা হয়েছে।

এছাড়াও যাচাইকৃত বদলি শ্রমিকদের বকেয়া মজুরি, মামলা নিষ্পত্তি/প্রত্যাহারজনিত স্থায়ী শ্রমিকদের পাওনা, মিল চলাকালীন সময়ের ৬৪ সপ্তাহের বকেয়া মজুরি, অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের গ্রাচ্যুইটিসহ সকল দায় এবং কাঁচাপাট ব্যবসায়ীদের বকেয়া পাওনা পরিশোধের লক্ষ্যে পাট মন্ত্রণালয় ও অর্থ মন্ত্রণালয় জোর তৎপরতা অব্যাহত রেখেছে।


আরও সংবাদ