• রবিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৬:২৮ অপরাহ্ন

ট্রেড লাইসেন্স থাকলেই কেনা যাচ্ছে রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের চোরাই মালামাল

HM Hakim / ১৭
সোমবার, ৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫
{"data":{"pictureId":"657f9894ff544b029f5182a5b19bc224","appversion":"4.5.0","stickerId":"","filterId":"","infoStickerId":"","imageEffectId":"","playId":"","activityName":"","os":"android","product":"lv","exportType":"image_export","editType":"image_edit","alias":""},"source_type":"vicut","tiktok_developers_3p_anchor_params":"{"source_type":"vicut","client_key":"aw889s25wozf8s7e","picture_template_id":"","capability_name":"retouch_edit_tool"}"}
আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন : ০১৯১১৬৫২৫৭০ (হোয়াটসঅ্যাপ)

 

কাইয়ুম খান

বাগেরহাট জেলার রামপাল উপজেলার তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে বিভিন্ন সময় চোর চক্রের সক্রিয় সিন্ডিকেটরা কৌশলে মালামাল বের করে বিভিন্ন ভাঙ্গাড়ির দোকানে লক্ষ লক্ষ টাকার মাল বিক্রি করে আসছে দীর্ঘদিন যাবৎ। এমন সংবাদের ভিত্তিতে দুপুর ১টায় সরেজমিনে রামপাল রনসেন বাস স্ট্যান্ড এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, ইউনুস নামের এক ব্যক্তির ভাঙ্গাড়ির দোকানে মধ্যে ১৫ থেকে ২০ টন তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বিভিন্ন ধরনের অ্যাঙ্গেল, পাইপ সহ বিভিন্ন রকমের লোহার মালামাল একটি ট্রাকে লোড হচ্ছে। এসময় উক্ত দোকানে তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে চোরাই এক ভ্যান মালামাল আসে । ভ্যানের সাথে থাকা ব্যক্তিকে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, সবই তো বোঝেন তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মালামাল আমি কিনে নিয়ে এসেছি । এ সময় কর্মচারী ও মালিক মোহাম্মদ ইউনুস এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কোথা থেকে নিয়ে আসছে সেটা আমার জানার বিষয় না।ঘটনাটি তাৎক্ষণিকভাবে রামপাল থানার অফিসার ইনচার্জ সেলিম রেজা কে জানানোর চেষ্টা করলে তিনি মিটিংয়ে আছেন বলে ফোনটা কেটে দেন। পরবর্তীতে ৯৯৯এ ফোন করলে ৯৯৯থেকে রামপাল থানা ডিউটি অফিসারের নাম্বার দেওয়া হয়। এরপর ডিউটি অফিসার কে ফোন করলে স্থানীয় পুলিশ ক্যাম্পের টুআইসি দুলাল ঘটনা স্থলে আসেন। পরবর্তীতে রামপাল থানার এসআই জাহাঙ্গীর ঘটনাস্থলে আসেন এবং সবকিছু দেখে শুনে চলে যায়। প্রতিবেদনের সার্থে এস আই জাহাঙ্গীরের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, ইউনুসের ভাঙ্গারীর দোকানে আমরা একটা ট্রেড লাইসেন্স দেখেছি। ওসি স্যার কে ঘটনার বিস্তারিত জানিয়েছি বাকি বক্তব্য ওসি স্যারের কাছ থেকে নেন বলে ফোন কেটে দেন।

ঘটনাটির বিষয়ে সার্বিক তথ্য নেওয়ার জন্য রামপাল থানার অফিসার ইনচার্জ সেলিম রেজার সাথে মুঠোফোনে আলাপ করলে তিনি বলেন, ট্রেড লাইসেন্স থাকলে এগুলো করা যায় বলে ফোনটা কেটে দেয়।

স্থানীয়দের সাথে আলাপ করলে তারা বলেন, পুলিশের সাথে সখ্যতা রেখেই চোর চক্রের সিন্ডিকেটরা এ সমস্ত অবৈধ মালামাল ক্রয়-বিক্রয় করে । ৫০০ টাকার ট্রেড লাইসেন্স হলেই এ ধরনের অবৈধ মালামাল ক্রয় বিক্রয় করা যায় এ বিষয়ে জনমনে প্রশ্ন উঠেছে।


আরও সংবাদ

জরুরি হটলাইন