• মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫, ০৬:৫৭ পূর্বাহ্ন

তীব্র দাবদাহেও থেমে নেই জীবন যুদ্ধ

মুহাম্মাদ শিমুল হুসাইন
মুহাম্মাদ শিমুল হুসাইন / ৬২
শনিবার, ১৮ মে, ২০২৪
তীব্র রোদে চাতালে ভুট্টা শুকাচ্ছেন শ্রমিকরা।
আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন : ০১৯১১৬৫২৫৭০ (হোয়াটসঅ্যাপ)

তীব্র গরমে শরীর থেকে টপ টপ করে ঝরে পড়ছে ঘাম। মনে হতে পারে পুকুর বা নদীতে ডুব দিয়ে এই মাত্র গোসল সেরে এসেছেন। অসহনীয় এই গরমেও জীবনের প্রয়োজনে যেন গরমের সঙ্গে রীতিমতো যুদ্ধ করছেন তারা।

অসহনীয় এই গরমেও বসে থাকার কোনো ফুসরত নেই তাদের। সমান তালে কাজ করেই যাচ্ছেন। সরেজমিনে দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে কর্মরত শ্রমিকদের এমন চিত্র দেখা গেছে।

জীবিকার তাগিদে এই সমস্ত শ্রমিকরা চলমান তপ্ত রোদে পুড়ছেন প্রতিদিন। পৌরশহরের মহাসড়কের পাশে তপ্ত রোদে ভুট্টা শুকানোর কাজ করছিলেন বাবু পাহাড়ি, কার্তিক পাহাড়ি, রাজু পাহাড়িসহ বেশ কয়েকজন শ্রমিক। তীব্র রোদ আর গরমকে উপেক্ষা করে ঘামতে ঘামতেই দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন সমস্ত উত্তপ্ত চাতাল।

গরমে এমন ভারী কাজ করছেন কীভাবে— জানতে চাইলে শ্রমিক সরদার বাবু পাহাড়ি জানান, আমরা এভাবেই কাজ করি। অন্যবারের তুলনায় এবার কাজ করতে একটু কষ্ট হচ্ছে। ঘাম অনেক বেশি পড়তেছে। গলাও শুকিয়ে যায়। যত পানি খাই বুকটা খাঁ খাঁ করে।

কার্তিক নামে আরেকজন জানান, একদিন কাজ করে ৫শ টাকা পাই। কাজ না করলে তো টাকা পাবে না, খাবো কী। গরমে ঘরে বসে থাকলে তো কেউ ভাত দেবে না। তাই গরম যতই বাড়ুক আমাদের কাজ করাই লাগে। বেশি লাগে দুপুরে। মনে হয় গা হাত পা পুড়ে যাচ্ছে। কিন্তু উপায় কী। কাজ তো করতে হবে। আমাদের তো পরিবার আছে। তাদের খাবারের ব্যবস্থা করতে হবে। তার জন্য হলেও গরমকে উপেক্ষা করেই আমাকে কাজে আসতেই হবে।

ঘোড়াঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য ও পবিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. তৌহিদুর আনোয়ার জানান, শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে গেলে কর্মক্ষমতা কমতে থাকে। শরীর অচল হয়ে যায়। আর এজন্য মাঝে মাঝে ছায়ায় অথবা ঠান্ডা স্থানে বিশ্রাম নিতে হবে। প্রয়োজনে রোদে সাদা রঙের ছাতা ব্যবহার করতে হবে। সারা দিন পূর্ণ বয়স্ক ব্যক্তিকে কমপক্ষে আড়াই থেকে তিন লিটার পানি পান করতে হবে।

 


আরও সংবাদ

জরুরি হটলাইন