আসিফ বিল্লাহ
জামালপুর জেলা প্রতিনিধি।
জামালপুরের মেলান্দহ থানার মাহমুদপুর ইউনিয়নের চরখাবুলিয়া গ্রামের বাসিন্দা মোঃরফিকুল ইসলাম (সনি)ডাক্তারের বাড়ি থেকে গত ১৬/০৫/২৪ ইং তারিখে সকাল ৭টায় ডাক্তারের পুত্রবধু লায়লা আক্তার (৩৮) মরাদেহ উদ্ধার করা হয়।পারিবারিক সুত্রে জানা যায় যে পরিবারের কলহের জের ধরে লায়লা আক্তার গলায় ফাস নিয়ে আত্মহত্যা করেন।কিন্তু সরজমিনে গিয়ে আত্মহত্যার আলামত হিসেবে কোন তথ্য পাওয়া যায়নি।এই বিষয়ে এলাকাবাসীর মতামতে জানা যায় যে – এটি নিছক আত্মহত্যা নয় বরং এটি পরিকল্পিত হত্যা।নিহত লায়লা আক্তারের সহোদর ভাই জনাব মোঃইয়াকুব আলী (৪০)জানান যে দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্নজন ভাবে তার বোন নিহত লায়লা আক্তারের স্বামী প্রবাসী হওয়ায় তার শ্বশুর ডাক্তার রফিকুল ইসলাম কু প্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন।এই বিষয়ে নিহত লায়লা আক্তার রাজি না হওয়ায় তাকে নানা রকম প্রহার সহ্য করতে হয়।এই বিষয়গুলো নিয়ে কয়েক দফায় শালিস হয় নিজ গ্রামে।এই বিষয়ে নিহতের স্বামী প্রবাসী রকিবুল ইসলামের সাথে যোগাযোগের চেস্টা করা হলে তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি।নিহত লায়লা আক্তারের ভাই ইয়াকুব আলী বাদী হয়ে মেলান্দহ থানায় এজাহার দায়ের করলে প্রথমে মেলান্দহ থানা নিতে অস্বীকার জানায়।পরবর্তীতে দৈনিক প্রতিদিন খবর ২৪এর সাংবাদিকের প্রশ্নের মুখে পরে এজাহার গ্রহণ করেছেন।এছাড়া লাশ গ্রহণের সময় মৃত লায়লা আক্তারের স্বশুর ডাক্তার রফিকুল ইসলাম সনি মেলান্দহ থানার তদন্ত ওসি কবির হোসেনের নিকট যে জবানবন্দি দিয়েছেন ও সাংবাদিকের কাছে যে জবানবন্দি দিয়েছেন দুটোর মাঝে অনেক ব্যাবধান রয়েছে।লাশ ময়না তদন্তের জন্য মেলান্দহ থানা পুলিশ জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
মেলান্দহ থানার তদন্ত অফিসার ইনচার্জ কবির হোসেন বলেন যে –
ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে না আসা অবধি তারা কিছু বলতে পারছেন না।থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের হয়েছে।তদন্ত চলছে।সঠিক ন্যায়ের পক্ষে কাজ করবেন সবসময়।