• সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৬:০৪ পূর্বাহ্ন

টায়ার পুড়িয়ে তেল উৎপাদন, স্বাস্থ্যঝুঁকিতে এলাকাবাসী

নিজস্ব প্রতিনিধি
নিজস্ব প্রতিনিধি / ৫২
সোমবার, ১৩ মে, ২০২৪
গাড়ির পরিত্যক্ত টায়ার।
আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন : ০১৯১১৬৫২৫৭০ (হোয়াটসঅ্যাপ)

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে উজানচর ইউনিয়নে বিশ্বনাথ গ্রামে পরিবেশ দূষণ করে কেরোসিনের বিকল্প জ্বালানি তেল উৎপাদনের কাঁচামাল হিসেবে বাইসাইকেল, রিকশা ও গাড়ির পুরোনো টায়ার গলিয়ে তেল উৎপাদন করছে একটি কোম্পানি। টায়ার গলানোর কাজে জ্বালানি হিসেবে খড়ি ব্যবহার করায় টায়ার আর খড়ির কালো ধোঁয়ায় এলাকা আচ্ছন্ন হয়ে বায়ুদূষণের সঙ্গে ক্ষতি করছে মানুষজন, পশুপাখি ও বিভিন্ন উঠতি ফসলের।

জানা যায়, গাড়ির পরিত্যক্ত টায়ার সংগ্রহ করে ঢাকা পাইরোলাইসিস কোম্পানি নামে একটি কারখানায় তৈরি করা হয় জ্বালানি তেল। এতে বাতাসে ছড়াচ্ছে কার্বন মনোক্সাইড নাইট্রোজেন ও মিথেনসহ বিভিন্ন ধরনের ক্ষতিকারক রাসায়নিক গ্যাস যা পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি করছে। জনস্বাস্থ্য জলপ্রাণীর জন্যও খুবই ক্ষতিকর। টায়ার পোড়ানোর ফলে কালো ধোঁয়া ও উৎকট গন্ধের সৃষ্টি হচ্ছে। কারখানার আধা কিলোমিটার মধ্যে একটি প্রাইমারি স্কুল। প্রতিদিন শতাধিক ছেলেমেয়েদের স্কুলে যাতায়াতের একমাত্র রাস্তার পাশে কারখানাটি।

স্থানীয়রা জানান, প্রায় দুই বছর ধরে এই অসহ্য যন্ত্রণা ভোগ করতে হচ্ছে। পাশেই ইটের ভাটা এবং টায়ার পোড়ানোর ফলে কালোধোঁয়া, বাজেগন্ধ ও কালিতে ঘরবাড়ি ছেয়ে যাচ্ছে। প্রশাসনের দৃষ্টি না থাকায় এমন কারখানা গড়ে উঠেছে। কেউ কেউ বলেন, টায়ার জ্বালানির কাজে কাঠখড়ির কালোধোঁয়া ও উৎকটগন্ধে শ্বাসকষ্টে ভুগছেন তারা।

খোঁজে নিয়ে জানা যায়, পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র না নিয়েই শুধু উজানচর ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ২০২৩-২৪ সালের পুরাতন মালামাল পুড়িয়ে তেল উৎপাদন করা হচ্ছে। প্রতি মাসে ৩-৫ লাখ আয় দেখিয়ে প্রায় দুই বছর আগে কারখানাটি সাভারের আমিন বাজার এলাকার মো. বাহাউদ্দীন নামে এক ব্যক্তি ও স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তির মাধ্যমে গড়ে উঠেছে। ক্ষমতাশীল ব্যক্তির হাত থাকায় অনেকে মুখ খুলতে ভয় পাচ্ছে বলে জানায় ভুক্তভোগীরা।

গোয়ালন্দ ইউএনও জ্যোতি বিকাশ চন্দ্র বলেন, নিয়ম-কানুন তোয়াক্কা না করেই কারখানাটি গড়ে উঠেছে। এই বিষয়ে আমরা অবগত ছিলাম না। আমাদের উপজেলা প্রশাসনকে বিষয়টি না জানিয়ে করেছে। দ্রুত এই বিষয়টি আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ফরিদপুর পরিবেশ অধিদপ্তরের উপপরিচালক সাইদ আনোয়ার বলেন, কারখানাটি স্থাপনের পূর্বে আমাদের কাছে অনুমতি বা ছাড়পত্রের জন্য কোনো আবেদন করেনি। এজন্য তাকে সাজা হিসেবে ত্রিশ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। পরবর্তীতে তিনি ছাড়পত্রের জন্য আবেদন করেছেন। এখন পর্যন্ত তাকে কোনো ছাড়পত্র দেওয়া হয়নি। তবে কাজের জন্য তাকে সুযোগ দেওয়া হয়েছে।

 

 

 


আরও সংবাদ

জরুরি হটলাইন