নড়াইলের কালিয়া উপজেলায় মোটরসাইকেল কিনে না দেওয়ার অভিমানে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে আরমান খান (১৬) নামের এক স্কুলছাত্র।
রোববার (১২ মে) সন্ধ্যায় উপজেলার কালিয়া পৌরসভার গোবিন্দনগর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এর আগেও মোটরসাইকেল কেনার বায়না করে বিষ খেয়েছিল সে। পরবর্তীতে বেঁচে ফিরলে বাবা-মা তাকে মোটরসাইকেল কিনে দেয়। সেই মোটরসাইকেল পুরনো হলে আবারও নতুন মোটরসাইকেলের বায়না ধরে আরমান। শেষমেষ গলায় ফাঁস দেয় সে।
নিহত আরমান খান গোবিন্দনগর গ্রামের হান্নান খানের ছেলে। সে কালিয়া সরকারি পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র।
পরিবার ও স্থানীয়রা জানান, আরমান এর আগেও একবার মোটরসাইকেল কিনে না দেওয়ায় বিষ পান করেছিল। সে সময় তার বাবা তাকে একটি মোটরসাইকেল কিনে দিয়েছিল। সেই মোটরসাইকেলটি পুরোনো হাওয়ায় আবারও একটি মোটরসাইকেল কিনে দিতে পরিবারকে চাপ দিচ্ছিল সে। কিন্তু তার দাবি পরিবার মেনে না নেওয়ায় কয়েকদিন ধরে বাড়িতে খাওয়া-দাওয়া বন্ধ করে দেয়। রোববার সন্ধ্যায় নিজ শোবার ঘরে সাউন্ডবক্স চালিয়ে নিজের বেল্ট দিয়ে ঘরের আড়ার সঙ্গে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কালিয়া পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কমিশনার প্রদীপ কুমার বর্মণ বলেন, আরমান সবসময় ফিটফাট থাকতো। সে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক ও টিকটকে ভিডিও তৈরি করে আপলোড করত। অনেকেই তাকে টিকটকার আরমান নামে চিনত। তার বাবা হান্নান খান পেশায় একজন অটোচালক। তার পক্ষে সব আবদার সব সময় মেনে নেওয়া আসলে সম্ভব ছিল না।
এ বিষয়ে কালিয়া থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) টিপু সুলতান বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসেছি। লাশের সুরতহাল রিপোর্ট করে পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এ বিষয়ে একটি অপমৃত্যু মামলার প্রস্তুতি চলছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, বাবা-মায়ের সঙ্গে অভিমান করে সে আত্মহত্যা করেছে।