রাতভর চেষ্টায় অবশেষে নিয়ন্ত্রণে এসেছে মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার সুপারবোর্ড কারখানার অগ্নিকাণ্ড। তবে এখনো পুরোপরি নিভে যায়নি আগুন। রোববার আগুন লাগার পর একের পর এক ফায়ার সার্ভিসের ১২টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে। তবে বর্তমানে আগুন নির্বাপণে কাজ করছে ৫টি ইউনিট।সোমবার (২৫ মার্চ) সকালে ফায়ার সার্ভিসের গজারিয়া ইউনিটের স্টেশন অফিসার রিফাত মল্লিক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।তিনি জানান, দমকল বাহিনীর অনবরত চেষ্টায় রাত ৩টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। এখন আর আগুন ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা নেই। তবে বিপুল পরিমাণে পাটখড়ি ও কাঠজাতীয় দাহ্য পদার্থ থাকায় পুরোপুরি নির্বাপণ করা যাচ্ছে না আগুন। আগুন নেভাতে আরও সময় প্রয়োজন। পাশের মেঘনা নদী থেকে অনবরত পানি ছোড়া হচ্ছে অগ্নিকাণ্ডের স্থলে।দিকে ১৯ ঘণ্টায়ও আগুনের সূত্রপাত ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ অনুসন্ধানে কাজ করে যাচ্ছে ফায়ার সার্ভিস।
অন্যদিকে এর মধ্যে অগ্নিকাণ্ডের বিষয়ে মো. মাসুদুল আলম বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে প্রধান করে ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে মুন্সিগঞ্জ জেলা প্রশাসন। এই কমিটিকে আগামী ৭ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমাদানের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।প্রসঙ্গত, রোববার দুপুর ১টার দিকে গজারিয়া উপজেলার হোসেন্দী ইউনিয়নের সিকিরগাঁও এলাকায় মেঘনা নদীর তীরে সুপার ফর্মিকা অ্যান্ড লমিনেশন (সুপারবোর্ড) নামের একটি কারখানার গোডাউনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। মুহূর্তে আগুন ছড়িয়ে পরে পুরো গোডাউনজুড়ে। এতে ধসে পরে গোডাউনের কাঠামো। খবর পেয়ে মুন্সিগঞ্জ-নারায়ণগঞ্জ ও ঢাকা থেকে একে একে ফায়ার সার্ভিসের ১২টি ইউনিট আগুন নেভানোর কাজে অংশ নেয়। অগ্নিকাণ্ড নেভানোর কাজে ৭ জন আহত হলেও বড় কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।