• সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৬:৪০ পূর্বাহ্ন

যোগ্য-ত্যাগীদের দিয়ে মহিলা দলের কমিটি গঠনে হস্তক্ষেপ কামনা

নিজস্ব প্রতিনিধি
নিজস্ব প্রতিনিধি / ৭৬
সোমবার, ১১ মার্চ, ২০২৪
আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন : ০১৯১১৬৫২৫৭০ (হোয়াটসঅ্যাপ)

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ মহিলা দলের সম্মেলনে দুঃসময়ে দলের সাথে বেঈমানি করা, অযোগ্যদের দিয়ে কমিটি গঠন করা হতে যাচ্ছে এমন অভিযোগ করে ত্যাগী, যোগ্যদের দিয়ে নতুন কমিটি গঠনের দাবিতে বিএনপির হাইকমান্ডের হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়েছে।

এ লক্ষ্যে রোববার (১০ মার্চ) বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের কাছে চিঠি দিয়েছেন মহিলা দলের সাবেক নেত্রী ও সাবেক কাউন্সিলর মনি বেগম। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীকে চিঠির অনুলিপি দেয়া হয়েছে।মনি বেগম সরকারবিরোধী আন্দোলন-সংগ্রামে বরাবরই সক্রিয় থেকেছেন বলে দাবি মহিলা দলের অনেকের।সোমবার (১১ মার্চ) নয়াপল্টনে ভাসানী ভবন মিলনায়তনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ মহিলা দলের কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত রয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান।

চিঠিতে বলা হয়েছে, দীর্ঘ দিন যাবৎ শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের আদর্শ ধারণ করে আমরা এবং এ দেশের সমগ্র জনগণ আন্দোলন সংগ্রামে রাজপথে আছি। যারা দুঃসময়ে দলের সাথে বেঈমানি করে দলে ফায়দা লুটে ভাল মানুষের মুখোশ পরে দালালী করে পদ নিয়েছেন- তাদের মূল্যায়ন হচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে দলের কান্ডারী রাজপথের সক্রিয় কর্মী তাদেরকে মহিলা দলের কোনো প্রোগ্রামে ডাকা হয় না, কোনো কমিটিতে রাখা হয় না, প্রোগ্রামে যাওয়ার পরে তাদেরকে কথা বলতে দেয় না, সেখান থেকে বের করে দেয়। মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক রুমা আক্তার, লিজা, হাশি, ফেরদৌসিসহ আরও অনেক সদস্যের শিক্ষাগত ও বিভিন্ন যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন আছে। বিষয়টি মহিলা দলের কেন্দ্রীয় নেত্রীবৃন্দ ও বিএনপির কিছু সিনিয়র নেতাকে বার বার জানানো হয়েছে। অনেক সময় উনারা বলেন নেতৃত্বের কাছে তারাও অসহায়, অপারগ। বিষয়টি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে জানানোর জন্য পরামর্শ দেন।

চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, মহানগর দক্ষিণ মহিলা দলের অধীন প্রায় থানায় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক তাদের ব্যক্তিগত লোক। অশিক্ষিত, অযোগ্য মহিলাদেরকে টাকার বিনিময়ে আহ্বায়ক ও পূর্ণাঙ্গ কমিটি করা হয় এবং তাদেরকে সম্মেলনের পরবর্তীতে পুণরায় বহাল করা হবে। নিজের ব্যক্তিগত লোক দিয়ে কমিটি করে সম্মেলন করা ও তাদের পদ পদবি ঠিক রাখা এটা কি দলের জন্য অশনি সংকেত নয়? কেন্দ্রীয় নেত্রী যদি দলকে ভালোবাসেন, তাহলে দক্ষিণের দায়িত্বে কেন সম্পূর্ণ মাঠের নেত্রীদেরকে বাদ দিয়ে তিন বার মহানগর আহ্বায়ক কমিটি করা হয়? এটা দলের জন্য অশনি সংকেত নয়? প্রত্যেক বাদ পড়া নির্যাতিত মহিলা নেত্রীরা কখনও মূল দল কিংবা অন্য দলের সঙ্গে মিটিং-মিছিল করে।

এখন সম্মেলনের জন্য আবার নিজস্ব লোক নিয়ে মহড়া দিচ্ছে। তারা নাকি তাদের ভোটার। তাদের ভোটের মাধ্যমে পূর্ণাঙ্গ কমিটি দিবে। এতে ২৫টি থানায় ও মহানগরে পদবঞ্ছিত নেত্রী, সাবেক ও বর্তমান কমিশনাররাও বাদ পড়েছে। দলের স্বার্থে মহিলা দলের যোগ্য ও ত্যাগী নেতাকর্মীদের দিয়ে ঢাকা মহানগর দক্ষিণে একটি সুশৃঙ্খল কমিটি দেওয়ার জন্য আপনার হস্তক্ষেপ ও দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

চিঠির সবশেষে প্রত্যয় ও আশাবাদ ব্যক্ত করে বলা হয়েছে, স্বৈরাচারী সরকারকে হঠিয়ে আন্দোলন-সংগ্রামে ভূমিকা রেখে রাজপথে থাকবো এবং দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করবো। এই দেশে আপনি ভবিষ্যৎ রাষ্ট্রনায়ক ও গণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠাতা এবং ১৮ কোটি মানুষের ভবিষ্যৎ দিক-নির্দেশক হিসেবে ফিরে আসবেন।


আরও সংবাদ

জরুরি হটলাইন