পিরোজপুরে মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্মলীগের জেলা সভাপতি ফয়সাল আকনকে কুপিয়ে জখম করার ঘটনার অন্যতম আসামি জামাল হোসেনকে (৩৮) গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ফেনী থেকে র্যাব ও পুলিশের যৌথ অভিযানে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পরে গ্রেপ্তার জামালের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, তার গ্রামের বাড়ি বাগেরহাট জেলার মোরেলগঞ্জ থানার কুমারখালীর বাড়ি থেকে একটি ধারালো রামদা, একটি চাপাতি, একটি জিআই পাইপ ও রক্তমাখা দুটি প্যান্ট জব্দ করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে পিরোজপুর সদর থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। এর আগে পৃথক অভিযান চালিয়ে আল আমীন (৪২) ও জুয়েল সিকদারকে (৩০) গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
বুধবার (৬ মার্চ) পিরোজপুর সদর থানায় এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ওসি মোহাম্মদ আসিকুজ্জামান।
মোহাম্মদ আসিকুজ্জামান জানান, মঙ্গলবার (৫ মার্চ) পুলিশ ও র্যাব-৭ ফেনী মডেল থানার মহিপুর এলাকা থেকে জামাল হোসেনকে গ্রেপ্তার করে। পরে তাকে পিরোজপুর সদর থানায় নিয়ে আসা হয়। বুধবার আসামিকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। জামাল বাগেরহাট জেলার মোরেলগঞ্জ থানার কুমারখালী গ্রামের দেলোয়ার হোসেন শেখ ওরফে দিলুর ছেলে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জামাল হোসেন শেখ আন্তঃজেলা অপরাধ জগতের বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্যক্রম ও চিহ্নিত মাদক কারবারি।
পিরোজপুর সদর থানায় ওসি মোহাম্মদ আসিকুজ্জামান বলেন, এ পর্যন্ত অভিযুক্ত তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মামলার বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
গত ২৩ ফেব্রুয়ারি পিরোজপুর পৌরসভাধীন উত্তর নামাজপুর গ্রামে স্থানীয় মোফাজ্জেল আকনের ছেলে ফয়সাল আকনকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করার ঘটনা ঘটে। তিনি সদ্য সমাপ্ত নির্বাচনে নৌকার এজেন্ট হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। ফয়সাল বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন।