• সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৭:৫৬ পূর্বাহ্ন

পুলিশ এ ধরনের অন্যায় করলে সাজা হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

মুহাম্মাদ শিমুল হুসাইন
মুহাম্মাদ শিমুল হুসাইন / ৯৮
রবিবার, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন : ০১৯১১৬৫২৫৭০ (হোয়াটসঅ্যাপ)

কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের দুই নেতাকে শাহবাগ থানায় ধরে নিয়ে রমনা বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) হারুন অর রশিদের পেটানোর ঘটনায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, পুলিশ যদি এ ধরনের অন্যায় করে তাহলে তার সাজা হবে, কেন করেছে তার জবাবদিহি তার করতে হবে।

রোববার (১০ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর আফতাবনগরে আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস উদ্বোধন অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের একথা বলেন তিনি।

ছাত্রলীগের দুই নেতাকে বেধড়ক মারধরের ঘটনায় ডিএমপির রমনা বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) হারুন অর রশিদের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এইটা যে করেছে, সে পুলিশের হোক বা যেই হোক না কেন অন্যায় করলে শাস্তি পেতে হবে। কেন করেছে, কী করেছে আমরা জিজ্ঞাসা করবো। তার ভুল কর্মকাণ্ডের জন্য তাকে জবাবদিহি করতে হবে।

এর আগেও এডিসি হারুনের বিরুদ্ধে সাংবাদিকসহ অনেককে ক্ষমতা দেখিয়ে মারধরের অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, গতকালের ঘটনাটি প্রথম, উল্লেখযোগ্যভাবে আসছে, আমরা একটু দেখে নেই। আমরা এটা নিয়ে কাজ করছি। সে যতখানি অন্যায় করেছে সেই শাস্তি সে পাবে।

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেলের সম্পর্কে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, উনি যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসে গিয়ে হাস্যকর একটা পরিস্থিতি তৈরি করেছেন। এটা উনি ভালো বলতে পারবেন।

শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) রাতে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের দুই নেতাকে শাহবাগ থানায় নিয়ে পেটানোর অভিযোগ ওঠে পুলিশের রমনা বিভাগের এডিসি হারুন অর রশিদের বিরুদ্ধে। গুরুতর আহত ছাত্রলীগের এ দুই নেতাকে পরে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

ছাত্রলীগের এই দুই নেতা হলেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক হলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন নাঈম এবং বিজ্ঞানবিষয়ক সম্পাদক ও ঢাবি শহীদুল্লাহ হলের সাধারণ সম্পাদক শরীফ আহমেদ মুনিম।

ছাত্রলীগ সূত্র বলছে, শনিবার রাতে এডিসি হারুন এক নারীর সঙ্গে বারডেম হাসপাতালে আড্ডা দিচ্ছিলেন। সেসময় ওই নারীর স্বামী কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের দুই নেতাকে সঙ্গে নিয়ে সেখানে যান এবং তাদের দুজনকে একসঙ্গে পান। সেখানে ছাত্রলীগের নেতাদের সঙ্গে এডিসি হারুনের বাগবিতণ্ডা এবং হাতাহাতি হয়। পরে পুলিশ ফোর্স নিয়ে এসে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের দুই নেতাকে শাহবাগ থানায় নিয়ে গিয়ে বেদম মারধর করা হয়।

এ ঘটনার জেরে রাতেই শাহবাগ থানার সামনে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ভিড় করেন। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও পুলিশের কর্মকর্তারা থানায় গিয়ে মধ্যরাতে ঘটনা মীমাংসা করেন।


আরও সংবাদ

জরুরি হটলাইন